ছাদ হারানো চিকিৎসাকর্মীদের পাশে দাঁড়ালো 'এনবিএফ', অভাবীদের সাহায্যে সামিল হতে পারেন আপনিও

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মীরাই সৈন্য

কিন্তু, সংক্রমণ রুখতে তাদেরও হারাতে হচ্ছে ঘরবাড়ি

এই অবস্থায় তাঁদের পাশে দাঁড়ালো বেঙ্গালুরুর এনজিও নাম্মা বেঙ্গালুরু ফাউন্ডেশন

এছাড়াও এই বিপর্যয়ে অভাবী মানুষদের নানাভাবে সাহায্য করছে তারা

 

amartya lahiri | Published : Apr 3, 2020 5:27 AM IST / Updated: Apr 03 2020, 11:17 AM IST

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রুখতে ভারতে চলছে ২১ দিনের লকডাউন। লকডাউনেরও আগে গত ২২ মার্চ জনতা কার্ফুর দিন বিকাল ৫টায় গোটা ভারত থালা বাজিয়ে করোনা-যুদ্ধে সামিল বীর সেনানিদের, অর্থাৎ চিকিৎসক ও অন্যান্য চিকিৎসাকর্মী, পুলিশ, সরবরাহ কর্মী থেকে শুরু করে, যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই যুদ্ধে একেবারে সামনের সারিতে রয়েছেন তাঁদের। কিন্তু, তারপরেও এই বিপর্যয়ের মুহূর্তে এই অগ্রণী যোদ্ধারাই অনেক জায়গায় সমস্যায় পড়েছেন। এই অবস্থায় তাঁদের পাশে দাঁড়ালো বেঙ্গালুরুর এনজিও নাম্মা বেঙ্গালুরু ফাউন্ডেশন।

সম্প্রতি সংক্রমণের ভয়ে বেঙ্গালুরুর ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের অবিলম্বে তাদের ভাড়া বাড়ি খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। মাথার উপর যদি ছাদই না থাকে, তাহলে তাঁরা লড়বেন কীভাবে? তাঁদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে নাম্মা বেঙ্গালুরু ফাউন্ডেশন বা এনবিএফ। আপাতত, ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের ৮ জন কেয়ারগিভার-কে হোটেল ডি-ওরিল'এ থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে এই এনজিও। ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের চিকিৎক ও নার্সদের এই অসুবিধার কথা জেনে তাঁদের জন্য তাঁর হোটেলের  ঘর খুলে দিতে দ্বিধা করেননি মালিক মুরলি কৃষ্ণ-ও।

মূলত, বেঙ্গালুরু শহর এবং তার নাগরিক এবং প্রতিবেশীদের অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করে থাকে নাম্মা বেঙ্গালুরু ফাউন্ডেশন। বেঙ্গালুরুকে আরও উন্নত শহর হিসাবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের সঙ্গে মিলে মিশে কাজ করে থাকে তারা। এই সংস্থার মাধ্যমে নাগরিকরা নগর পরিকল্পনা ও প্রশাসনে সক্রিয় অংশ নিতে পারেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার এবং জনগণের অর্থ এবং সরকারী সম্পদের সঠিক ব্যবহার  হওয়াটা নিশ্চিত করার কাজও করে থাকে এই সংগঠন। এই বিপর্যয়ের সময়ে তাঁরা এগিয়ে এসেছে বেঙ্গালুরুর স্বাস্থ্যকর্মী ও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে।

রামনবমীর দিন করোনা নাশ করতে যজ্ঞ করে 'পশ্চিমবাংলার মা'য়ের জন্য় প্রার্থনা করলেন তৃণমূল বিধায়ক

করোনা যুদ্ধে এবার মাত্র ৯ মিনিট সময় চাইলেন মোদী, দেশবাসীকে কী বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

করোনার জের, চলতি বছরে বড়সড় কোপ কলকাতার সেরা দুর্গাপুজোর বাজেটেও

চিকিৎসাকর্মীদের মাথার উপর ছাদ যেমন তারা নিশ্চিত করেছে, তেমনই 'এনবিএফ ফুড ডেলিভারি ড্রাইভ'-এর মাধ্যমে অসংগঠিত খাতের কর্মীদের খাদ্যের চাহিদা-ও মেটানো হয়েছে। ২১ দিনের লকডাউনে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলোর হাতে কাজ না তাকায় খাওয়ারও জুটছে না। এই অবস্থায় অন্তত ৮৩০৫ জনের হাতে খাবারের প্যাকেট এবং মুদিখানার জিনিসপত্র তুলে দিয়েছে এই সংগঠন। শুধু দিনমজুররাই নন, নাম্মা বেঙ্গালুরুর এই উদ্যোগে উপকৃত হয়েছেন, ডোমলুর, ভ্যালিকাভাল, হনুমন্তনগর, কেজি হাল্লি, নাগাওয়ারা এবং হেব্বল-এর উপকারভোগীদের মধ্যে রয়েছে বহু গৃহহীন, ভিক্ষুক, বস্তিবাসী, স্বল্প আয়ের গোষ্ঠী, একা থাকা বৃদ্ধা বা মায়েরা।

নাম্মা বেঙ্গালুরু ফাউন্ডেশনের জেনারেল ম্যানেজার হরিশ কুমার জানিয়েছেন, তাঁদের একার পক্ষে এই বিশাল ককর্মযজ্ঞ চালানো সম্ভব ছিল না। এই অবস্থায় তাঁদের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখর, এশিয়ানেট নিউজ নেটওয়ার্কের অন্যতম ব্যান্ড সুবর্ণা নিউজ, জৈন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন, আত্রিয়া ফাউন্ডেশন, ভাড়ওয়াড় ভাভা, দেশি মসালা, ভাস্করর্স মানে হলিজ, প্রেস্টিজ গুলমোহরের বাসিন্দারা, উলসুর গুরুদ্বার এবং অবশ্যই দীর্ঘদিন ধরে বস্তিবাসীদের জন্য কাজ করা সংগঠন গিলগাল চ্যারিটেবল ট্রাস্ট।

তবে, চাইলে সাধারণ মানুষ-ও এনবিএফ-এর এই কর্মযজ্ঞে অংশ নিতে পারেন। 'ফুড ডেলিভারি ড্রাইভ' প্রকল্পে ৮০০ টাকা অনুদান দিয়ে একটি অভাবী পরিবারকে সহায়তা করতে পারেন সকলেই। এই ৮০০ টাকা ব্যয়ে প্রতিটি অভাবী পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি আটা, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি চিনি, ১ কেজি নুন, ১ লিটার তেল এবং ২টি করে সাবান। এই বিষয়ে বিশ্বের যে কোনও প্রান্ত থেকে যে কেউ আর্থিক সহায়তা করতে পারেন। যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই অনুদান দেওয়া যাবে, তার বিশদ নিচে দেওয়া হল -

Beneficiary account name: Namma Bengaluru Foundation

Beneficiary account no: 520101253850351

Branch IFS code: CORP0000341

Bank: Corporation Bank

Type of account: Saving Bank Account

Branch: MG Road

Centre/City: Bengaluru

Share this article
click me!