সংক্ষিপ্ত

  • দেশবাসীর জন্য ফের ভিডিও বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
  • বার্তার শুরুতেই দেশবাসীর প্রশংসা মোদীর গলায়
  • প্রধানমন্ত্রী বললেন আমরা সবাই সবার সম্বল
  • করোনা যুদ্ধে এবার দেশবাসীর কাছে ৯ মিনিট সময় চাইলেন মোদী

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এখন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে লড়াই চলছে গোটা দেশে। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার ভিডিও কবনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীদের পরের ছক তৈরির রাখার কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরেই শুক্রবার সকাল ৯টায় তিনি ভিডিও বার্তা দেবেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও বার্তায় কী বলতে চলেছেন তা নিয়ে আলোড়ন পড়ে যায় গোটা দেশে। সেই ভিডিও অবশেষে জনসমক্ষে এল।

করোনা যুদ্ধ জিততে দেশবাসীকে উপহার ভারত সরকারের, অ্যাপ দিয়েই এবার খোঁজ মিলবে আক্রান্তের

করোনা অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা, পালাতে হল চিকিৎসককে, দেখুন সেই লজ্জাজনক ভিডিও

দেশবাসীর মঙ্গল কামনায় হিন্দু ধর্মের ওম মন্ত্র জপছেন স্পেনের চিকিৎসকরা, ভাইরাল ভিডিও

এদিনের ভিডিও বার্তায় দেশবাসীর প্রশংসা নিয়ে শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘লকডাউনের সময় দেশের মানুষ যেমন অনুশাসনের পরিচয় দিয়েছেন, তা অভূতপূর্ব। আপনারা যেমন ভাবে ২২ মার্চ রবিরার করোনার যোদ্ধাদের ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন, তা উদাহরণ হয়েছে। এই সংকটের মুহূর্তে দেশের শক্তির পরিচয় দিয়েছে দেশ।

 

 

এরপরেই দেশবাসীর কাছে রবিবার ৯ মিনিট চান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ৫ এপ্রিল, করোনার সংকটের লড়তে আমাদের শক্তির পরিচয় দিতে হবে। এদিন  আমাদের মহাশক্তির জাগরণ করতে হবে। "তাই ৫ এপ্রিল রাত ৯ টায়, আপনাদের ৯ মিনিট আমি চাই। আপনারা ওইদিন রাতে ঘরের সব লাইট বন্ধ করে আপনারা বারান্দায় দাঁড়িয়ে মোমবাতি, টর্চ বা মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালান‌। তবে এই আয়োজনের সময় কেউ একজোট হবেন না। নিজেরা নিজেরা এটি পালন করবেন।"

 

 

জনতা কারফিউয়ের সময় বিকেল ৫টায় অনেকেই অত্যুৎসাহে পথে নেমে এসেছিলেন। এবার তাই আগে থেকেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা সচেতন ভাবে মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। 

 

 

প্রধানমন্ত্রী এদিন আরো বলেন, আমরা এই লড়াইয়ে একা নই। আমরা সবাই সবার সম্বল। আমরা সবাই সবার সম্বল। আমাদের এখানে সাধারণ মানুষই ঈশ্বরের রূপ। "আর এতবড় লড়াইয়ের সেই জনতারূপী বিরাট ঈশ্বরের দর্শন আমি রোজ পাচ্ছি। আমার পথ আরও স্পষ্ট হচ্ছে। করোনা অতিমারীর অন্ধকারের মধ্যে‌ থেকে আমাদের আলোর দিকে যেতে হবে। করোনা সংকটে যাঁরা সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত সেই গরীব মানুষকে আশার দিকে নিয়ে যেতে হবে।"