রাষ্ট্রপতি ভবনের এক কর্মী করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে এস্টেটের ১২৫টি পরিবারকেই আইসোলেশনে পাঠান হয়েছে। এবার সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল লোকসভায়। সেখানেও হাউস কিপিং বিভাগের এক কর্মী করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। তারপরই তাঁর গোটা পরিবারকেই পাঠান হয়েছে আইসোলেশনে।
কিন্তু প্রশ্ন কী করে ওই কর্মী করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হলেন? সংসদে কর্মরত আধিকারিকরা জানিয়েছেন গত ২৩ মার্চ বাজেট পেশের পরেই সংসদের অধিবেশন বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকে ওই কর্মী বাড়িতেই ছিলেন। কিন্তু দিন দশেক আগে অসুস্থ বোধ করেন। গায়ে ব্যাথা ও জ্বর নিয়ে ওই কর্মী রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে যান। সেখানেই নমুনা পরীক্ষার পর জানা যায় তিনি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত। বর্তমানে আক্রান্ত কর্মী চিকিৎসাধীন। একই সঙ্গে তাঁর পুরো পরিবারকেই পাঠান হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে।
লোকসভার এক আধিকারিকের কথায় আক্রান্ত কর্মী সরাসরি লোকসভায় কর্মরত ছিলেন না। ৩৬ জিআরজি রোডে লোকসভা সেক্রেটারিয়েটে কর্মরত ছিলেন আক্রান্ত কর্মী। সংসদ লোকসভায় প্রায় ৩ হাজার কর্মী রয়েছেন। এই প্রথম লোকসভার কোনও কর্মী করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হলেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্যে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজার ছা়ড়িয়েছে । ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে, ৫৯০ জনের। শুধুমাত্র দিল্লিতেই আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৪৭ জনের। ইতিমধ্যে ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে গেছেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে গোটা দেশে দুদফায় ৪০ দিনের লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে প্রায় স্তব্ধ গোটা দেশের জনজীবন। স্বাস্থ্য পরিষেবাসহ চালু রয়েছে জরুরী পরিষেবা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণে লাগাম পরাতে সবরকমভাবে চেষ্টা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সহযোগিতা করছে রাজ্যগুলিও।