দেশে বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। ইতিমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজারের গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলেছে। পরিস্থিতি যা তাতে সংক্রমণ আটকাতে লকডাউন ছা়ড়া উপায় ছিল না ভারত সরকারের কাছে। এই অবস্থায় দেশে দ্বিতীয় দফায় লকডাউন চলবে ৩ মে পর্যন্ত। যদিও ২০ এপ্রিলের পর কৃষি সহ বেশকিছু ক্ষেত্রে লকডাউনের নিয়ম শিথিল করেছে ভারত সরকার। এবার আগামী ৩ মের পর দেশে কী পদ্ধতিতে লকডাউন তুলে নেওয়া হবে, তা ঠিক করতে এবার বৈঠকে বসতে চলেছে মন্ত্রিগোষ্ঠী।
আপাতত ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন চলবে গোটা দেশে। তারপর কী হবে? তা নিয়েই এখন সাধারণ মানুষ থেকে শিল্পপতি সকলেই চিন্তিত। দিনে দিনে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে দেশে। এই অবস্থায় দেশে লকডাউন প্রত্যাহার হবে তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে চলেছে মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর নেতৃত্বে আয়োজিত এই বৈঠকে দেশে ধাপে ধাপে লকডাউন তোলা হবে, নাকি জায়গা বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সেই বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।
বাণিজ্য রাজধানী মুম্বইয়ের পর এবার দক্ষিণের চেন্নাই, ফের করোনার শিকার সাংবাদিকরা
রাষ্ট্রপতি ভবনেও এবার করোনার থাবা, আইসোলেশন পাঠান হল এস্টেটের ১২৫টি পরিবারকে
করোনা সংক্রমণের প্রভাব অর্থনীতিতে, নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে অভিবাসন বাতিল ট্রাম্পের
দেশে লকডাউন বাড়ানোর কোনও পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই, এমনটাই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। তবে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্বের নিয়ম দেশ জুড়ে হয়তো বজয়া রাখা হবে। পাশাপাশি ট্রেন, বিমান ও আন্তঃরাজ্য সড়ক পরিবহণ আরও কিছুদিন বন্ধ রাখা হতে পারে। তবে রাজ্যগুলির নিজেদের জেলা ও শহরের মধ্যে যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই অবস্থায় মঙ্গলবার বিকেলে মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকের গতিপ্রকৃতি দেখেই দেশে লকডাউনের ভবিষ্যত অনকেটা বোঝা যাবে। দেশকে করোনা সংক্রমণ অনুযায়ী লাল, কমলা ও সবুজ জোনে ভাগ করেছে সরকার। তবে শোনা যাচ্ছে, শুধুমাত্র 'গ্রিন জোন' যেখানে করোনার প্রকোপ কম, সেখানেই এই নিয়ম শিথিল করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। করোনার প্রকোপ দেশের যেসব প্রান্তে বেশি, সেখানে কড়াকড়ি বজায় থাকবে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লাল ও কমলা জোনগুলির পরিস্থিতি বিবেচনা করে ভবিষ্যত নির্ধারিত করা হবে।