নিজে মরলেন, বেপরোয়া হয়ে বিপদে ফেললেন কয়েকশো-কে, একসঙ্গে কোয়ারেন্টাইনে ১৫টি গ্রাম

১৮ মার্চ পঞ্জাবে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছিল

আর তার থেকেই রাজ্যের কয়েকশো মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা

পঞ্জাবে ৩৩ জন আক্রান্তের ২৩ জনই ওই মৃতের বেপরোয়াভাবের শিকার

একসঙ্গে কোয়ারেন্টাইনে বন্দি করা হল ১৫টি গ্রামকে

amartya lahiri | Published : Mar 27, 2020 10:00 AM IST

গত ১৮ মার্চ পঞ্জাবে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছিল। আর তার থেকেই সেই রাজ্যে একলাফে কয়েকশো রোগী বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পঞ্জাবে ৩৩ জন এই মারাত্মক সংক্রামক ব্যধীতে ভুগছেন। তারমধ্যে কমপক্ষে ২৩ জনের ক্ষেত্রে সংক্রমণ হয়েছে ওই মৃত ব্যক্তির থেকেই বলে এখন অবধি তদন্তে বেরিয়েছে। আর তার জেরে বর্তমানে পঞ্জাবে একসঙ্গে ১৫টি গ্রামকে কোয়ারেন্টাইনে বন্দি হতে হয়েছে।

জানা গিয়েছে, ৭০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একটি স্থানীয় গুরুদ্বারের পুরোহিতের কাজ করতেন। সম্প্রতি তিনি আরও দুই বন্ধুকে নিয়ে দুই-সপ্তাহের জার্মানি এবং ইতালি সফর করে ফিরে এসেছিলেন। মার্চের গোড়া থেকেই ভারতে বিদেশ সফর করে আসা ব্যক্তিদের কঠোরভাবে স্ব-বিচ্ছিন্নতা পালন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, জানা গিয়েথে সেই বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করেই তিনি ও তাঁর দুই বন্ধু আশপাশের গ্রামগুলিতে ঘুরে বেরিয়েছিলেন। কয়েকশো মানুষের সঙ্গে মিশেছিলেন।

আরও পড়ুন - করোনা মোকাবিলায় মেনে চলুন হু-এর পরামর্শ

আরও পড়ুন - ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচবেন কী করে, কীভাবে বাড়াবেন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

আরও পড়ুন - করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, স্মার্টফোনেই মিলবে সঠিক উত্তর

আরও পড়ুন - লকডাউন নিয়ে অযথা আতঙ্ক নয়, জেনে নিন কী কী জরুরি জিনিস হাতের কাছে রাখা দরকার

গত ৬ মার্চ তিনি দিল্লিতে পৌঁছেছিলেন। সেখান থেকে ট্রেনে পঞ্জাব যান। তাঁর গতিবিধি খতিয়ে দেখে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন গত ৮ থেকে ১০ মার্চ আনন্দপুর সাহিব-এর একটি অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দিয়েছিলেন। তারপর শহিদ ভগত সিং নগর জেলায় তাঁর নিজের গ্রামে ফিরে এসেছিলেন। তাঁর করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফল ইতিবাচক আসার আগে তিনি এবং তাঁর দুই ভ্রমণসঙ্গী রাজ্য জুড়ে মোট ১৫ টি গ্রামে ঘুরেছিলেন বলে এখনও অবধি জাননা গিয়েছে। সবকটি গ্রামই এখন তালাবন্ধ। কাউকে ঢুকতে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। গ্রামগুলির আর কারোর দেহে কোভিড-১৯'এর উপসর্গ ধরা পড়ছে কিনা, সেদিকেো নজর রাখা হচ্ছে।  

তাঁর পরিবারের ১৪ জন সদস্যের দেহে ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাস-এর উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এই পরিবারের সদস্যরাও গত কয়েকদিনে বহু মানুষের সঙ্গে মিশেছেন। করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সামি স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা এখন এই তিন ব্যক্তির বেপরোয়া সামাজিক মেলামেশার কারণে কোভিড-১৯ এর সংস্পর্শে আসা সম্ভাব্য প্রত্যেকটি ব্যক্তির সন্ধানে গ্রামে গ্রামে যাচ্ছেন। নওয়ানশহর, মোহালি, অমৃতসর, হোশিয়ারপুর ও জলন্ধর - এই পাঁচ জায়গাতেই ওই তিন ব্যক্তি করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা ঘটিয়েছেন বলেই তাঁদের বিশ্বাস।

 

Share this article
click me!