সংক্ষিপ্ত
- বাড়িতে থাকুন, সেইসঙ্গে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলুন
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গেলে আপনাকে নিয়মিত কোনও না কোনও ব্য়ায়াম করতে হবে
- মনে রাখবেন হাঁটাটাও একটা ব্য়ায়াম, বাইরে সুযোগ না-পেলে বাড়ির ভেতরেই চক্কর কাটুন
- একটা মাল্টিভিটামিন খান, ভালো করে বিশ্রাম নিন, প্রোটিন খান পরিমাণ মতো
লকডাউনের সময়ে বাড়িতে না-হয় থাকলেন। কিন্তু তাতেই তো আপনি পুরোপুরি নিরাপদ হয়ে গেলেন এমনটা নয়। এই সময়ে দরকার শরীরের রোগ প্রতিরোধ বাড়িয়ে তোলা। যাতে করে আপনি দ্বিগুণ সুরক্ষিত হয়ে ওঠেন।
ডাক্তাররা কেউ কেউ বলছেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য় সাংঘাতিক কিছু করতে হবে না। শুধু কতগুলো জিনিস মাথায় রাখুন, তাহলেই হবে।
যেকোনও একটা মাল্টিভিটামিন খান। অন্তত এই ক-দিন। বাছবিচারের দরকার নেই। আপনার বাড়ির কাছে ওষুধের দোকানে যেটা আগে পাবেন, সেটাই কিনে নিয়ে আসুন। এই মাল্টিভিটামিন কিন্তু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। বিশেষ করে ভিটামিন-সি কিন্তু দারুণভাবে রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। এই লকডাউনের বাজারে হাতের কাছে যা পাবেন তাই খান। পাতিলেবুতে ভালো পরিমাণে ভিটামিন-সি থাকে। আমলকি এই সময়ে হয়তো পাবেন না হাতের কাছে। চাইলে চ্য়বনপ্রাশ খেতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণ আমলকি থাকে। আমলকি হল ভিটামিন-সি-র ভাণ্ডার।
প্রোটিন যাতে শরীরে ঠিকমতো যায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। প্রোটিন মানেই যে আপনাকে মাছ-মাংস কিনতে ছুটতে হবে না। বাড়িতে ডাল থাকলে পরিমাণ মতো খান। পারলে চালেডালে বসিয়ে দিন। খিচুড়ি কিন্তু খুব পুষ্টিকর। সেইসঙ্গে যদি দুধ বা ছানা বা দই, কোনও একটা সম্ভব হয় এই আকালের বাজারে, তাহলে তো কথাই নেই।
ডাক্তাররা বলছেন প্রয়োজনীয় বিশ্রাম নিন। এই বিশ্রামও কিন্তু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য় করে। নিয়মিত কোনও না কোনও ব্য়ায়াম করুন। মনে রাখবেন, হাঁটাটাও কিন্তু একটা ব্য়ায়াম। যদি বাইরে হাঁটতে না-পারেন ছাদে হাঁটুন। তা-ও যদি না-পারেন, বাড়ির ভেতরেই কয়েকবার চক্কর দিন। যাঁরা অন্য় কোনও ব্য়ায়াম করে অভ্য়স্ত, তাঁরা কিন্তু এই সময়ে তা বন্ধ করবেন না।