রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে দেওয়া চিঠিতে, ভূষণ ২৪ঘন্টার ভিত্তিতে একাধিক RAT বুথ স্থাপন করার এবং সমস্ত জেলা হাসপাতাল এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র সহ সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে RAT-এর অনুমতি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
করোনার (Corona) বাড়বাড়ন্ত নিয়ে বিশেষ উদ্বিগ্ন কেন্দ্র (Centre)। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ (Union Health Secretary ) এবং ICMR ডিজি ডক্টর বলরাম ভার্গব (ICMR DG Dr. Balram Bhargava) সবকটি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের মুখ্য সচিবদের চিঠি দেন। সংশ্লিষ্ট এলাকার বিভিন্ন স্থানে চব্বিশ ঘন্টা কার্যকরী ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট বা RAT বুথ (RAT booths) স্থাপন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে চিঠিতে। এজন্য চিকিৎসা ও প্যারামেডিক্যাল কর্মীদের নিযুক্ত করতে হবে বলে এবং হোম টেস্ট কিট ব্যবহারে উৎসাহিত করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
কোভিড সংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে দ্রুত অ্যান্টিজেন পরীক্ষা বাড়াতে বলেন। কারণ কেন্দ্রের দাবি RTPCR-ভিত্তিক পরীক্ষার কারণে রোগ নির্ণয় নিশ্চিত করতে দেরি হয়। রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে দেওয়া চিঠিতে, ভূষণ ২৪ঘন্টার ভিত্তিতে একাধিক RAT বুথ স্থাপন করার এবং সমস্ত জেলা হাসপাতাল এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র সহ সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে RAT-এর অনুমতি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
চিঠিতে ভূষণ বলেন যে সব করোনা রোগীর উপসর্গ রয়েছে তাদের জন্য হোম টেস্টের ব্যবহার উৎসাহিত করা যেতে পারে। এই ধরনের সাতটি হোম টেস্টিং কিট এখনও পর্যন্ত অনুমোদিত হয়েছে, এবং তাদের মধ্যে দুটি জিইএম পোর্টালেও পাওয়া যাচ্ছে। সব RT-PCR এবং RAT ফলাফল ICMR পোর্টালে আপলোড করা উচিত।
এখন পর্যন্ত, ভারতে ৩১১৭টি মলিকুলার টেস্টিং ল্যাব রয়েছে যার মধ্যে RT-PCR, TrueNat, CBNAT এবং অন্যান্য টেস্টিং প্ল্যাটফর্ম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। চিঠি অনুসারে আনুমানিক ন্যাশনাল ডেইলি মলিকিউলার টেস্ট ক্ষমতা প্রতিদিন ২০ লক্ষেরও বেশি। দেশে করোনা (Corona) সংক্রমণের গ্রাফ ফের উর্ধ্বমুখী। এই তালিকা থেকে বাদ পড়েনি রাজ্য। রাজ্যেও ফের বাড়ছে মারণ রোগ আক্রান্তের সংখ্যা। মাঝে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু ফের পুরনো দিনগুলোর স্মৃতি উঠে আসতে চলেছে বলে আন্দাজ চিকিৎসক মহলে। প্রতিদিনই খবরে আসছে করোনা আক্রান্তের খবর। রাজ্যে ইতিমধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে ২ হাজার। শুধু কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০৯০। এর সঙ্গে বাড়ছে ওমিক্রন। সম্প্রতি, ওমিক্রনে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির।
এদিকে, গবেষকদের ধারণা দক্ষিণ আফ্রিকায় যেভাবে ওমিক্রন হানা দিয়েছে, ভারতেও সেই ছবিরই প্রতিফলন ঘটবে। ফেব্রুয়ারি মাসে যদি সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা হয়, তবে এক মাসের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে। দক্ষিণ আফ্রিকায় কোভিড কেসের গড় সংখ্যা ১৫ ডিসেম্বর প্রায় ২৩ হাজারে পৌঁছেছিল। যা এখন ২০ হাজারের নীচে নেমে গেছে। তবে মৃতের সংখ্যা এখনও বাড়ছে।