লকডাউনে দুর্ভোগ চরমে, মুম্বইয়ে অর্ধাহারে দিন কাটছে বাঙালি পরিবারের

  • লকডাউনের গেরোয় বীরভূমের একটি পরিবার
  • মুম্বইয়ে আটকে পড়েছেন স্বামী-স্ত্রী-সহ চারজন
  • অর্ধাহারে দিন কাটছে তাঁদের
  • সরকারি সাহায্য মিলছে না বলে অভিযোগ

Tanumoy Ghoshal | Published : Apr 10, 2020 2:42 PM IST

স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে মুম্বইয়ের টাটা হাসপাতালে গিয়ে আটকে পড়েছেন একই পরিবারের চার সদস্য। রাজ্য সরকারের কাছেও আবেদন করেও সাহায্য় মেলেনি বলে অভিযোগ। ভিনরাজ্যে অর্ধাহারে দিন কাটছে, ভাড়া দিতে না পারায় হোটেল মালিক তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: এশিয়ানেট নিউজ বাংলার খবরের জের, অনাহারে থাকা কালিন্দীরা হাতে পেলেন বন্ধক দেওয়া রেশন কার্ড

উৎপল চক্রবর্তী। বাড়ি বীরভূমের মল্লারপুর থানার ঘোষগ্রামে। স্ত্রী জটিল অসুখে ভুগছেন। তাঁর চিকিৎসার জন্য ১৪ মার্চ মুম্বইয়ের টাটা ক্যানসার হাসপাতালে যান পরিবারের চার সদস্য। কিন্তু চিকিৎসা শেষে আর ফিরতে পারেননি তাঁরা। কারণ, ততদিনে লকডাউন জারি হয়ে গিয়েছে। হোটেল ভাড়া গুনতে গুনতে কার্যত নিঃস্ব হয়ে গিয়েছেন উৎপলবাবু। বাড়ি ফেরা তো দূর অস্ত, এখন খাবার কেনারও পয়সা নেই। ভিডিও বার্তায় রাজ্য সরকারের কাছে সাহায্যে আর্জি জানিয়েছেন তিনি। লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন ময়ূরেশ্বর ১ নম্বর ব্লকের বিডিওর কাছে। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ।


আরও পড়ুন: লকডাউনে প্রযুক্তিতেই ভরসা, অনলাইনে পঠনপাঠন চালু হল হাওড়ার বাগনান কলেজে

আরও পড়ুন: সুপার করোনা আক্রান্ত, সংক্রমণের ভয়ে রোগী ভর্তি নেওয়া হবে না হাসপাতালে

এখন কী অবস্থায় দিন কাটছে?  উৎপল চক্রবর্তী জানিয়েছেন,  'পানীয় জলের অভাব। খাবারও কিচ্ছু নেই। কোনওমতে আধপেটা খেয়ে থাকতে হচ্ছে। হোটেল মালিক বলে দিয়েছে থাকলে গেলে প্রতিদিন ১২০০ টাকা করে ভাড়া দিতে হবে। কীভাবে বাড়ি ফিরব বুঝতে পারছি না। দুঃশ্চিন্তায় স্ত্রী আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছে।'  ময়ূরেশ্বর ১ নম্বর ব্লকের বিডিও গোরাচাঁদ বর্মণ বলেন, 'আমি আবেদন পত্র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি।'  আবেদনপত্র গেল কোথায়? উত্তর জানা নেই 

Share this article
click me!