সংক্ষিপ্ত
- প্রযুক্তির কামাল
- লকডাউনেও চলছে পঠনপাঠন
- অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছেন অধ্যাপকরা
- কলেজে যেতে হচ্ছে না পড়ুয়াদের
আরও পড়ুন: সুপার করোনা আক্রান্ত, সংক্রমণের ভয়ে রোগী ভর্তি নেওয়া হবে না হাসপাতালে
দেখতে দেখতে দুই সপ্তাহ হয়ে গেল। এ রাজ্যে করোনা সতর্কতায় লকডাউনের জেরে ব্যাহত জনজীবন। শিকেয় উঠেছে পঠনপাঠনও। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্কুল, কলেজ, এমনকী অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিও বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্দিষ্ট সময়সীমার পর কী পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে? সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। বরং লকডাউনের সময়সীমা আরও বাড়তে পারে। কিন্তু বছরের মাঝপথে কলেজে যদি দীর্ঘদিন ক্লাস না হয়, তাহলে তো সিলেবাস শেষ হবে না! বিপাকে পড়বেন পড়ুয়ারাই। ফলে প্রযুক্তি সাহায্য নেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।
আরও পড়ুন: এশিয়ানেট নিউজ বাংলার খবরের জের, অনাহারে থাকা কালিন্দীরা হাতে পেলেন বন্ধক দেওয়া রেশন কার্ড
আরও পড়ুন: রাজ্যেই বানাবে এবার করোনার ওষুধ, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন তৈরী করবে 'বেঙ্গল কেমিক্যাল'
জানা গিয়েছে, পড়ুয়াদের কথা চিন্তা করেই বাগনান কলেজের অধ্যক্ষকে অনলাইন পঠনপাঠন চালু করার প্রস্তাব দেন পরিচালন সমিতির সভাপতি মানস বসু। সেই প্রস্তাব মেনে নেন অধ্যক্ষ। তবে প্রথমদিকে বাড়িতে বসে ক্লাস করার ক্ষেত্রে তেমন আগ্রহ দেখাননি পড়ুয়ারা। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে পেরেছেন তাঁরা। গুগল, ইউটিউব ও হোয়াটসঅ্যাপ-এর মাধ্যমে এখন দিব্যি চলছে পঠনপাঠন। চার-পাঁচজন বাদে অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছেন কলেজের বাকী অধ্যাপকরা।
শুধু হাওড়া বাগনান কলেজেই নয়, লকডাউনের মাঝে অনলাইনে পঠনপাঠন চলছে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের মেঘনাথ সাহা কলেজেও। বাড়ি বসেই কলেজের পোর্টালে নোটস ও প্রশ্নোত্তর আপলোড করে দিচ্ছেন অধ্যাপকরা। ফোন নম্বর অথবা নিজস্ব আইডি ব্যবহার করে ই-ক্লাস যোগ দিচ্ছেন পড়ুয়ারা। যাঁর যেমন প্রয়োজন, সেইমতো সংগ্রহ করে নিচ্ছেন নোটস ও স্টাডি মেটিরিয়ালস।