এ রাজ্য থেকে উত্তর ভারতে বেড়াতে গিয়েছিলেন একদল পর্যটক। লকডাউনের কারণে আর ফিরতে পারছেন না তাঁরা। বন্দিদশায় দিন কাটছে কালকা একটি হোটেলে। সঙ্গে যা টাকা নিয়ে গিয়েছিলেন, তাও ফুরিয়ে এসেছে। খাবার কিনতে গিয়েই হিমশিম খাচ্ছেন সকলেই।
আরও পড়ুন: লকডাউনে বিপত্তি, ভিন রাজ্যে চিকিৎসা করাতে গিয়ে আটকে বীরভূমের বহু মানুষ
করোনা নিয়ে চাপা আতঙ্ক ছিল, তবে এ দেশে পরিস্থিতি তখনও এতটা ভয়াবহ আকার নেয়নি। হুগলির পোলবা ও চন্দনগর থেকে ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন ১৮ পর্যটক। গন্তব্য, উত্তর ভারত। হাওড়া থেকে কালনা মেলে চেপে তাঁরা পৌছে যান কালকায়। সেখান থেকে চলে যান সিমলা ও সাংলায়। করোনা আতঙ্কে সেদিন দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা হয়, সেদিন মানালিতে ছিলেন ওই ১৮ জন পর্যটক। আর ঝুঁকি নেননি তাঁরা, লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর তড়িঘড়ি মানালি থেকে ফের কালকাতেই ফিরে আসেন। ২৪ এপ্রিল কালকা মেলেই তাঁদের কালকা মেলের ফেরার টিকিটও কাটা ছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু ৩১ মার্চ পর্যন্ত যেহেতু সারা দেশে ট্রেন পরিষেবা বন্ধ ছিল, তাই ১ এপ্রিলের টিকিট কাটেন ওই পর্যটকরা। কিন্তু তাতেও সমস্য়ার সুরাহা হয়নি।
আরও পড়ুন: আশি কিলোমিটার পথ পেরিয়ে এসে জুটল গরমভাত আর একটু বিশ্রাম
মঙ্গলবার জাতি উদ্দেশ্যে ভাষণে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর আবেদন, এই মুহুর্তে যিনি যেখানে আছেন, তিনি যেন সেখানেই থেকে যান। ফলে এখন কালকার একটি হোটেলেই কার্যত বন্দিদশায় দিন কাটছে এ রাজ্যের ১৮ জন পর্যটকের। এদিকে লকডাউনে জেরে বিপাকে পড়েছেন এ রাজ্য়ের আরও ১৭ জন পর্যটক। হাওড়া ও হুগলির কোন্ননগর থেকে তাঁরা হিমাচলপ্রদেশে বেড়াতে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছেন।