সংক্রমণ ঠেকাতে তৎপর জেলা প্রশাসন, মেদিনীপুরে চালু করোনা হাসপাতাল

  • মুম্বই থেকে ফিরে করোনায় আক্রান্ত যুবক
  • সংক্রমণ রুখতে তৎপর জেলা প্রশাসন
  • মেদিনীপুরে চালু করোনা হাসপাতাল
  • জেলা হাসপাতাল থেকে সরানো হল রোগীদের

Tanumoy Ghoshal | Published : Apr 2, 2020 10:10 AM IST

জেলা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন সকলেই। সম্ভাব্য করোনা আক্রান্তকে এবার সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল আলাদা হাসপাতালে। সংক্রমণ ঠেকাতে প্রশাসনিক তৎপরতা তুঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরে।

সোনার কাজ করতেন মুম্বইয়ে। ২২ মার্চ বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের নিজামপুর গ্রামের এক যুবক। প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে। লক্ষণ সন্দেহজনক হওয়ার রোগীকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে। আইসোলেশন থাকাকালীন সোমবার রাতে করোনা ধরা পড়ে ওই যুবকের। কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর। ওই যুবকের বাড়ি যে গ্রামে, দাসপুরের সেই নিজামপুরে ঢোকার পথটি সিল করে দিয়েছে পুলিশ। হোম আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে গ্রামবাসীদের। আর এবার করোনা আক্রান্তদের জন্য চিকিৎসার জন্য আলাদা একটি হাসপাতালও চালু হয়ে গেল মেদিনীপুর শহরে।  

আরও পড়ুন: করোনা সন্দেহে ঘরে ঢুকতে দিচ্ছে না মালিক, ১৪ দিনের অজ্ঞাতবাস ভাড়াটিয়ার

রোগীদের ভিড় বাড়ছিল মেদিনীপুরে জেলা হাসপাতালে। সোমবার করোনা চিকিৎসার জন্য আলাদা পরিকাঠামো তৈরির নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় হাসপাতাল তৈরির কাজ শুরু হয় মেদিনীপুর শহরের দুই প্রান্তে। মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে যে ১৪ জন ভর্তি ছিলেন, বুধবার রাতে তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ১০০ শয্যায় নয়া করোনা হাসপাতালে। হাসপাতালটি চালু করা হয়েছে মেদিনীপুর শহর লাগোয়া আবাস এলাকায়, আয়ুষ দপ্তরের ভবনে। এখন থেকে করোনা আক্রান্ত ও সন্দেহজনক রোগীদের নতুন এই হাসপাতালেই চিকিৎসা করা হবে বলে জানিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা।  

আরও পড়ুন: করোনার বিরুদ্ধে লড়াই, বীরভূমে গান গেয়ে সচেতনতার পাঠ এসপিডিও-র

আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গেও ছড়াচ্ছে করোনা, আরও চারজনের শরীরে মিলল সংক্রমণ

এদিকে আবার দিল্লিতে নিজামুদ্দিনের জমায়েত যোগ দিয়েছিলেন খড়গপুরের ৯ জন বাসিন্দাদের। তাঁদের কলকাতার হজ হাউসে কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়ে দিল জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। এই ৯ জনের মধ্য়ে সাতজন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক ও দু'জন ভারতীয় অনুবাদক বলে জানা গিয়েছে। হোম আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে মেদিনীপুর সদর ব্লকের নয়াগ্রাম এলাকার আরও সাতজনকে।

Share this article
click me!