করোনা সন্দেহে ঘরে ঢুকতে দিচ্ছে না মালিক, ১৪ দিনের অজ্ঞাতবাস ভাড়াটিয়ার

ভাড়াটিয়াকে করোনা সন্দেহে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ মালিকের বিরুদ্ধে। ক্যানিং থানার তালদি গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই বাসিন্দা গত ছয় বছর স্ত্রী, এক ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন বলে দাবি। কর্মসূত্রে  কেরলে শ্রমিকের কাজ করেন অভিযোগকারী।

গত ২৩মার্চ বাড়ি ফিরে তিনি ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিজের পরীক্ষা করাতে যান বলে জানিয়েছেন ভাড়টিয়া। যদিও হাসপাতাল থেকে হোম কোয়ারান্টাইনের কথা বললেও তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন কেরল ফেরত ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগ বাড়ি গেলে মালিক তাকে বাড়িতে ঢুকতে বাধা।\

ভাড়াটিয়ার অভিযোগ,যেখানে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক ১৪ দিন ঘরে থাকার কথা বলেন, সেখানে তার আর বাড়িতে ঢোকা হয়নি। বাধ্য় হয়েই বিডিও অফিসে যান তিনি। সেখান থেকে তাকে ফের ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার বর্তমান ঠিকানা ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল। দিনরাত হাসপাতালের বাইরে বাইরে ঘুরছেন অভিযোগকারী। 

বিষয়টা ক্যানিং এক নম্বর ব্লক আধিকারিক নীলাদ্রি শেখর দে কে জানালে প্রশাসনের তরফ থেকে তাকে ঘরে ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। প্রশাসনের তরফ থেকে প্রথমে বাড়িওয়ালাকে বোঝানোর চেষ্টা করা হবে, যদি তিনি না মানেন তাহলে রাজ্য সরকারের যে কোয়ারান্টাইন সেন্টারে তাকে ১৪ দিন রাখা হবে বলে বিডিও জানিয়েছেন। পরিসংখ্য়ান বলছে, রাজ্য়ে ইতিমধ্য়েই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭ ছাড়িয়েছে। মারা গিয়েছে ৩ জন। আক্রাান্তদের মধ্য়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩জন।