লকডাউনের মাঝে এবার নয়া বিপত্তি। শেষে কিনা প্রাথমিক স্কুলে রাতে অন্ধকারে বসল মদের আসর! ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলির পোলবায়। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: গাঁজা বিক্রিকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড, সংঘর্ষ থামাতে লাঠিচার্জ পুলিশের
লকডাউন চলছে, বাইরে বেরনোর উপায় নেই। জমায়েত বা আড্ডাও বন্ধ। হুগলির পোলবার সুগন্ধা নারায়ণপাড়া গ্রামে সরকারি প্রাথমিক স্কুলের এখন তালা ঝুলছে। পড়ুয়ারা যে যার বাড়িতে। এই সুযোগটাকেই কাজে লাগাল এলাকার কয়েকজন দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার সকালে এলাকার বাসিন্দারা দেখেন, স্কুলের একটি জানলা ভাঙা, ভিতরে লণ্ডভণ্ড অবস্থায় পড়ে রয়েছে মিড-ডে মিলের সামগ্রী। এমনকী, গ্যাস পুড়িয়ে ভাজা হয়েছে বেশ কয়েকটি পাঁপড়ও! তাঁদের দাবি, লকডাউনের কারণে এখন কাউকে বাইরে বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না। এলাকায় সকাল-সন্ধে যে আড্ডা বসত, তাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মদের আসর বসানোর জন্য রাতের অন্ধকারে জানলা ভেঙে স্কুলের ঢুকেছিল দুষ্কৃতীরা। শুধু তাই নয়, মিড-ডে মিলে তেলে পাঁপড়ও ভেজে খেয়েছে তারাই।
আরও পড়ুন: সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের ক্লাস দূরদর্শনে, প্রশ্ন পাঠাতে হবে হোয়াটসঅ্যাপে
জানা গিয়েছে, পোলবার সুগন্ধা নারায়ণপাড়া গ্রামে দুষ্কৃতীদের উপদ্রব নেই। চুরি-ডাকাতির ঘটনার কখনও ঘটেনি। স্কুলে মদের আসর বসার ঘটনা রীতিমতো তাজ্জব বনে গিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় থানায়। ঘটনাস্থলে ঘুরে গিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা। শুরু হয়ে তদন্ত।
উল্লেখ্য, লকডাউনের বাজারে এখন রাজ্যের সর্বত্রই মদের চাহিদা তুঙ্গে। দামও বাড়ছে হুহু করে। তিন থেকে চারগুণ দামে কালোবাজারি চলছে বাংলার মদের! শুক্রবার সকালে আবার লোকালয়ে গাঁজা বিক্রিকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের সংঘর্ষে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধে মেদিনীপুর শহরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।