লকডাউনে খোলা থাকছে ব্যাংক পরিষেবা। তবে গ্রাহকদের উদ্দেশ্য়ে বেশকিছু বিধিনিষেধ জারি করেছে ব্যাঙ্কিং সেক্টর। নতুন নির্দেশনামায় বলা হয়েছে, আপাতত সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত খোলা থাকবে ব্যাংক পরিষেবা।
করোনায় মৃতের দেহ সৎকারে বাধা, মধ্য়রাতেও চলল পুলিশের সঙ্গে বচসা.
তবে সব ব্যাঙ্কের সব ব্রাঞ্চ খোলা পাবে না গ্রাহকরা। প্রতিটি ব্যাঙ্কেরই ৫ কিলোমিটার অন্তর খোলা থাকবে একটি শাখা। এই নিয়ম লাগু হয়েছে সব ব্য়াঙ্কের ক্ষেত্রেই। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ব্যাঙ্কে না এসে এখন ডিজিটাল লেনদেন করতে পরামর্শ দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যাঙ্কে গেলে তাদের অ্যাপ স্মার্ট ফোনে ডাউনলোড করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভাইরাস মোকাবিলায় কদিন আগে একই কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই সময়ে দেশবাসীকে ডিজিটাল লেনদেনে উৎসাহ দেন তিনি।
মাধ্য়মিকের খাতায় করোনার আতঙ্ক, খাতা দেখা বন্ধের নির্দেশ পর্ষদের.
সোমবার বিকেল পাঁচটা থেকে রাজ্য় জুড়ে শুরু হয়েছে লক ডাউন। তবে হাজার সচেতনমূলক প্রচারেও কাজ হচ্ছে না। কলকাতার বুকেই লকটাউন না মেনে ঘুরে বেড়াচ্ছে বেপরোয়া লোকজন। শেষমেশ কঠোর হতে হয়েছে কলকাতা পুলিশকে। লকডাউন না মানায় গ্রেফতার করা হয়েছে ২৫৫জনকে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধরা প্রয়োগ করা হয়েছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে।
টুইটে ঘরে থাকার বার্তা দেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা । টুইট করে তিনি লেখেন,অনুগ্রহ করে করোনা-সংক্রান্ত সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। নিতান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বেরোবেন না। সরকারি বিধি লঙ্ঘন আইনত দণ্ডনীয়। আপৎকালীন প্রয়োজনে ১০০ ডায়াল করুন। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। অবাধ্য় কলকাতাকে বাগে আনতে পারেনি কলকাতা পুলিশ। শেষে বলপূর্বক সবাইকে লকডাউন বোঝাতে শুরু করে কলকাতা পুলিশ।
শহরের বেশিরভাগ জায়গা থেকে বাইকার ছাড়াও চারচাকার গাড়িওয়ালাদের ফাইন ছাড়াও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শ্যামবাজারে দেখা গিয়েছে, মাইকিং করা সত্ত্বেও লকডাউনের পর দোকান খোলা রেখেছেন অনেক ব্যবসায়ী। শেষে পুলিশ দেকানের ভিতর ঢুকে তা বন্ধ করে। এরই মধ্যে বিকেলের দিকে কলকাতার ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে জন হিত প্রকল্পে করোনা সচেতনতা শিবির করেন কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহা। জনগণকে সচেতন করতে তাদেরকে সাবান বিলি করা হয়। যার জেরে ভিড় জমে যায় এলাকায়। কীভাবে হাত ধুতে হবে তাও দেখিয়ে দেন বিজেপির নেতারা।