সংক্ষিপ্ত
- করোনায় মৃতের দেহ সৎকারে বাধা
- করোনায় মৃতের সৎকার করা যায়নি মধ্য়রাতেও
- রাত বারোটো বেজে গেলেও নিমতলা ঘাটে বচসা
- দেহ সৎকারে বাধা দেয় এলাকার মানুষজন
করোনায় মৃতের দেহ সৎকারে পদে পদে পড়ল বাধা। বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ মৃত্যু হলেও দমদমের করোনায় মৃতের দেহ সংকার করা যায়নি মধ্য়রাতেও। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাত বারোটো বেজে গেলেও নিমতলা ঘাটে ওই দেহ সৎকারে বাধা দেয় এলাকার মানুষজন। পরে পুলিশ এলেও দেহ নিয়ে বেঁকে বসে খোদ ঘাটের কর্মীরা।
পারলে চিতাভষ্মটুকু রাখবেন, আমেরিকা থেকে কাতর আবেদন করোনায় মৃতের ছেলের
করোনায় মৃতের দেহ পোড়ানো হলে এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে। সন্ধ্য়ে থেকেই এই আতঙ্কে জেরবার হয় নিমতলা ঘাট এলাকার মানুষজন। সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে মৃতদেহ নিয়ে নিমতলা ঘাট শ্মশানে ঢুকতেই একদল লোকের রোশের মুখে পড়ে পুলিশ। সৎকারে বাধা দেওয়া হয় পুলিশকে। এদিন রাত ১০টা নাগাদ দেহ পৌঁছয় শ্মশানে। স্থানীয়রা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, নিমতলায় ওই দেহ দাহ করা যাবে না।
দমদমের প্রৌঢ় ইতালি থেকে ফিরেছিলেন, মুখ্য়মন্ত্রীর বক্তব্য়ে নতুন বিতর্ক.
তবে শুধু নিমতালা ঘাটেই নয়। মৃত্য়ুর পর থেকেই ওই দেহ সৎকার নিয়ে শুরু হয় বচসা। প্রথমে বেসরকারি হাসপাতালে দমদমের ওই বাসিন্দার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, মৃত্যুর খবর বাড়িতে পৌঁছলেও হাসপাতালে আসতে চাননি কেউ। বিষয়টি স্বাস্থ্য ভবনে জানানোর পর সমস্য়া বাড়তে থাকে। প্রথমে সল্টলেকের কোনও শববাহী গাড়িই আসতে রাজি হয় নি এদিন। তা নিয়েও চলে দীর্ঘক্ষণ টানাপোড়েন।
করোনায় মৃতের দ্রুত সৎকারের নির্দেশ , মরদেহ দেওয়া হবে না পরিবারকে.
শেষমেষ বিধান নগর পৌরসভা বিধাননগর পুলিসের সহযোগিতায় তাদের একটি গাড়িতে দেহ নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা হয়। বিধাননগর পুলিসের পাইলট কার এসে পৌঁছায় ওই বেসরকারি হাসপাতালে। খবর দেওয়া হয় কলকাতা পুলিসেকে। নিয়ম অনুযায়ী হাসপাতালের ঠাণ্ডা ঘর থেকে দেহকে বের করে কেমিক্যাল মাখিয়ে বিশেষ প্যাকেটের মধ্যে মুড়ে তা চাপানো হয় গাড়িতে। ওই দেহের সঙ্গে কলকাতা কর্পোরেশনের লোক বিধাননগর পুলিসের প্রাইভেট গাড়ি ও সংশ্লিষ্ট বেসরকারি হাসপাতালে এক প্রতিনিধি এবং স্বাস্থ্য ভবনের স্বাস্থ্যকর্তা, চিকিৎসক এবং কলকাতা কর্পোরেশনের চিকিৎসকরা রওনা দেন নিমতলা ঘাটের দিকে।
পরের বিপত্তি রাত পৌনে ১০টা নাগাদ নিমতলা ঘাট এর কয়েকজন কর্মী এবং স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি জানান, ওই দেহ তাঁরা নিমতলা ঘাটে দাহ করতে দেবেন না। খবর যায় কলকাতা পুলিসের কাছে। এখনও পর্যন্ত ওই দেহ দাহ করা যায়নি। পুলিশের সঙ্গে বচসা চলছে স্থানীয়দের। এদিন দুপুরেই করোনা মোকাবিলায় সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেন মুখ্য়মন্ত্রী। সেখানে খবর পেয়েই দেহ পরিবারকে দেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি। মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, এই ধরনের ক্ষেত্রে দেহ ডিসপোজাল করে দেওয়াই নিয়ম। সেই নির্দেশও দেন তিনি। মৃতের ফুসফুস থেকে এখনও ছড়াতে পারে সংক্রমণ ৷ তাই মৃতদেহের অটাপ্সি করা যাবে না বলে জানিয়ে দেন মুখ্য়মন্ত্রী৷