তাঁর সাংসদ তহবিলের টাকা উন্নয়নের কাজে খরচ হচ্ছে না বলে অভিযোগ। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবার হুগলির জেলাশাসককে ১ কোটি টাকা দিলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার জেলাশাসককে মেল পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: লক ডাউনের মধ্যে বিনামূল্যে রুটি বিতরণ, পথ দেখালো দার্জিলিং-এর গ্লেনারি'স
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। বেলেঘাটা আইডি-তে বেডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ও টালিগঞ্জের বাঙুর হাসপাতাল, এমনকী হাওড়ার ডুমরজলা স্টেডিয়ামেও। শুধু তাই নয়, সোমবার বিকেল থেকে শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত কলকাতা-সহ সবকটি জেলা সদর শহরে লকডাউন লাগু করেছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার আবার সেই লকডাউনের মেয়াদ ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেডিক্যাল কলেজ, আরজি, বেলেঘাট আইডি-সহ নিজে শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত কোরনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বেশ কয়েকজন। মারাও গিয়েছেন একজন।
আরও পড়ুন: ফস্কা গেরো, কোনওরকম থার্মাল স্ক্রিনিং ছাড়াই ওড়িশা থেকে কাতারে কাতারে লোক ঢুকছে দিঘায়
তিনি যে টাকা দিলেন, সেই টাকা কীভাবে খরচ করা হবে? লকেট চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, জেলাশাসক যা ভালো মন করবেন, সেই খাতেই সাংসদ তহবিলের টাকা খরচ করতে পারেন। করোনা আক্রান্তদের জন্য হাসপাতালে পরিকাঠামো উন্নয়ন, অ্যাম্বুল্যান্স বিলি কিংবা মাস্ক বিলি, যেকোনও খাতেই ওই টাকার খরচ করা যেতে পারে। এর আগে একাধিকবার তাঁর সাংসদ তহবিলের টাকা খরচ না করা নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন লকেট। এমনকী, ঘটনার প্রতিবাদে ধর্নায় বসবেন বলেও ঠিক করে ফেলেছিলেন। এই বিষয়ে ১৪ ফ্রেরুয়ারি হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাওয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। লকেট চট্টোপাধ্যায় একা নন, করোনা প্রতিরোধে আর্থিক সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোর্তিময় মাহাতোও। সোমবার জেলাশাসককে ৫০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন তিনি।