সোমবার তৃতীয়া, আর পুজো শুরু হওয়ার আগেই মানুষের ঢল কলকাতা সহ রাজ্য়ে। লোকাল ট্রেন চালু না হলেও নিজের গাড়ি কিংবা বাসেই পরিবার নিয়ে বেরিয়ে পড়ছে রাজ্যবাসী। দোকানেও উপচে পড়ছে ভীড়। হাতে হাতে স্পর্শ হচ্ছে একাধিক বার। মাস্ক শুধু অনেকের ঠোঁটের উপরটুকুতেই আছে। বিরক্তি নাক থেকে সরিয়ে দিয়েছেন কখন তা আর খেয়াল নেই। আর এমন সময় প্রায় প্রতিদিনই কলকাতা সহ উত্তর ২৪ পরগণা একদিনে আক্রান্তের তালিকায় শীর্ষে। কলকাতায় মারণ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০০ ছুঁইছুঁই এবং বাংলায় ৪ হাজার ছুঁইছুঁই। শত সতর্কতা-বিজ্ঞাপন-প্রচার করেও মানুষের হুঁশ ফেরেনি। তাই এবার করোনা সংক্রমণের বৃদ্ধির হারের নিরিখে রাজ্যের ১৫ টি জেলায় বিপদ সঙ্কেত দেখছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তা ব্যাক্তিরা।
আরও পড়ুন, বরিশার ক্লাবের পুজো উদ্বোধনে মমতা, আর্ট কলেজের প্রাক্তণীর সৃষ্টিতে প্লাবিত কলকাতা
পজিটিভিটির নিরিখে লাল কালির পড়েছে রাজ্যের ১৫ টি জেলায় উপরে
রাজ্যের ১৫ টি জেলায়, করোনা সংক্রমণের বৃদ্ধির হারের নিরিখে বিপদ সঙ্কেত দেখছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তা ব্যাক্তিরা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, সংক্রমণ বৃদ্ধি, মৃত্যুর হার, নমুনা পরীক্ষার চিত্র, অ্যাক্টিভ কেস সংখ্যা, সুস্থতার হার সংক্রান্ত একটা সাপ্তাহিক রিপোর্ট জেলা প্রশাসনিক কর্তাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রকাশ করা হয়। পুজোর ঠিক দোরগোড়ায় শনিবার প্রকাশিত রিপোর্টে, পজিটিভিটির নিরিখে লাল কালির পড়েছে রাজ্যের ১৫ টি জেলায় উপরে। করোনায় মৃত্যু হার বৃদ্ধি পর্যালোচনা করে রাজ্য়ের ৮ টি জেলার পরিসংখ্যান নিয়ে রীতিমত উদ্বেগে রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবন।
আরও পড়ুন, আজ তৃতীয়া থেকেই বাড়ল মেট্রোর সংখ্যা, ই-পাস লাগবে না সিনিয়র সিটিজেনদের
মহারাষ্ট্রকেও পজিটিভিটির হারে পিছনে ফেলল উত্তর ২৪ পরগণা
অপরদিকে, জেলা স্বাস্থ্য পরিষেবা সূত্রে খবর, ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ অক্টোবার পর্যন্ত সময়কে ৪ টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সেই রিপোর্টের পরিসংখ্যান বিচার করতেই বেড়েছে আশঙ্কা। পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগণার কেস-সিপিআর অর্থাৎ পজিটিভিটির হার ২৪.৪৮ শতাংশ। উল্লেখ্য, সারা দেশের মধ্যে সংক্রমণে শীর্ষ মহারাষ্ট্র। এদিকে সবথেকে অবাক করা তথ্য ১১ অক্টোবার অবধি সারাদেশের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী মহারাষ্ট্রের পজিটিভিটি কেস ১৯.৯৯। যা উত্তর পরগণার থেকেও কম।