ছাইচাপা আগুনের মত আতঙ্কটা চাপে পড়ে আছে। দিল্লি, মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি দেখে আঁতকে উঠেছে গোটা বিশ্ব। অক্সিজেনের অভাব, করোনা রোগীদের হাসপাতালে জায়গা নেই, শ্মশানে চিতার পর চিতা জ্বলেই চলেছে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা এই ছবিগুলো আমাদের রাজ্যে ঘটবে না তো? গত কয়েকদিন কিন্তু রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপের দিকেই যাচ্ছে। ভোটের বঙ্গে এখন ইভিএম পিছনের সারিতে, খবর হাসপাতালের বেড পাওয়া নিয়ে। এই আশঙ্কার মাঝে বিশেষজ্ঞরা কিন্তু কলকাতা বা রাজ্যের জন্য আশার কথা বলছেন না।
আরও পড়ুন: ভোটের জন্য ৭ হাজার টেস্ট কম, তাতেও গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫,৯৯২
মার্কিন অধ্যাপক, গবেষক ও বায়োস্টাটিস্টিয়ান ভ্রমর মুখোপাধ্যায় বঙ্গবাসীকে সাবধান হওয়ার কথা জানালেন। তা না হলে কলকাতার হাল দিল্লির মত হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন মিচিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের এই এপিডেমিওলজির এই অধ্যাপক। সরকার থেকে এখনও বাংলায় লকডাউন করা না হলেও রাজ্যবাসীকে নিজেদের স্বার্থেই কোভিড বিধি মেনে চলে যতটা সম্ভব ঘর থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
(ছবি: Covid19.India.org)
তথ্য বিজ্ঞানী ভ্রমর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগামী দু সপ্তাহ রাজ্যের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পশ্চিমবাঙলার বিভিন্ন হাসপাতালে ইতিমধ্যেই কোভিড রোগীদের ভিড়ে প্রায় ভর্তি হয়ে গিয়েছে। যেভাবে রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, সেটা যদি বাড়তে থাকে তাহলে বড় আশঙ্কার ব্যাপার থাকছে।
আরও পড়ুন: স্পুটনিক ভি কবে আসছে ভারতে! স্বস্তি দিয়ে জানাল রাশিয়া
সম্প্রতি এক পরিসংখ্যানের উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছেন, বঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, সেই হারের কাছাকাছিও ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে না। গত ২২ এপ্রিল ভ্রমর মুখার্জি জানিয়েছিলেন, আগামী ১৪ দিনে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ হাজারে যেতে পারে।
তথ্য বিজ্ঞানী ভ্রমর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস যতটা না প্রাণঘাতী তার চেয়ে অনেক বেশি বিপজ্জনক যদি রোগী অক্সিজেনের বা সঠিক চিকিৎসা-যত্ন না পেয়ে মারা যাওয়া। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে যে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫,৯৯২। রাজ্যজুড়ে গত কয়েকদিন ধরেই প্রতিদিন ১২, ১৪, ১৫ হাজার করে নতুন করোনা আক্রান্তের কেস সামনে আসছে। যা রীতিমত রাতের ঘুম উড়িয়েছে চিকিৎসকদের। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ছবিটা আবারও যাচ্ছে পাল্টে। ফিরছে ২০২০-র স্মৃতি।