সংক্ষিপ্ত
দেশজুড়ে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ নাজেহাল দেশবাসীর কাছে একমাত্র আশা হল ভ্যাকসিন। কিন্তু এত বড় দেশে ভ্যাকসিনের জোগান দিয়ে কুলিয়ে ওঠা যাচ্ছে না। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি 'কোভিশিল্ড', ও ভারত বায়োটেকের তৈরি 'কোভ্যাক্সিন'।
দেশজুড়ে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ নাজেহাল দেশবাসীর কাছে একমাত্র আশা হল ভ্যাকসিন। কিন্তু এত বড় দেশে ভ্যাকসিনের জোগান দিয়ে কুলিয়ে ওঠা যাচ্ছে না। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি 'কোভিশিল্ড', ও ভারত বায়োটেকের তৈরি 'কোভ্যাক্সিন'। দেশে জানুয়ারি থেকে এই দুটি ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ চলছে। কিন্তু প্রশাসনিক তৎপরতা সত্ত্বেও টিকাকরণের কাজে জোর দেওয়া যাচ্ছে না জোগানের অভাবে। আর তাই রাশিয়ার করোনা টিকা 'স্পুটনিক-ভি' নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পয়লা মে থেকে যেহেতু দেশের সব প্রাপ্তবয়স্কদেরই টিকা দেওয়া হবে তাই 'স্পুটনিক ভি'কবে ভারতে আসে তা গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। ভারতে চলছে বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ। এখনও পর্যন্ত ১৩ কোটিরও বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এত বড় দেশে টিকাকারণে আরও জোর দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ভোটের জন্য ৭ হাজার টেস্ট কম, তাতেও গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫,৯৯২
এই অবস্থায় সুখবর হল রাশিয়ান টিকা 'স্পুটনিক ভি'-র প্রথম ব্যাচ পয়লা মে ভারতে পেয়ে যাচ্ছে। এমনটাই জানালেন রাশিয়ান ডায়রেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের প্রধান কিরিল দিমিত্রোভ। তবে প্রথম ব্যাচে ঠিক কত পরিমাণ ভ্যাকসিন ভারতে আসতে চলেছে সে ব্যাপারে কিছু জানায়নি রাশিয়া। ভারতের এই অতিমারির কঠিন সময়ে রাশিয়ার টিকা বড় সাহায্য করবে বলেই দিমিত্রোভ আশাপ্রকাশ করেছেন। আপাতত রাশিয়া থেকে আমাদনি করা হলেও, পরে এই ভ্যাকসিন ভারতেই তৈরি করা হবে আগেই জানানো হয়েছে।
'স্পুটনিক ভি'-র মার্কেটিংয়ের দায়িত্বে থাকা রাশিয়ান সংস্থা আরডেআইএফ জানিয়েছে, বছরে ৮৫ কোটি ডোজ তৈরির জন্য ভারতের পাঁচটি শীর্ষ টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থার সঙ্গে ইতিমধ্যেই চুক্তি সাক্ষর হয়ে গিয়েছে। ভারতে এই রাশিয়ান টিকার দাম হতে পারে সাড়ে ৭০০ টাকা। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় দেশের করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক জায়গা যাওয়ার পর রাশিয়ার এই স্পুটনিক ভি টিকাকে ছাড়পত্র দেয় ডিসিজি (DCG)।
এদিকে, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ যেভাবে বিশ্বকে গ্রাস করছে তাতে বাইডেন ও মোদী একযোগে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ভারতে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেন বাইডেন। ভারতের বুকে অক্সিজেন সঙ্কটের কথা মার্কিন প্রেসিডেন্টের কানেও পৌঁছেছে। এছাড়াও করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে যে একটা অপ্রতুলতা তৈরি হয়েছে তা নিয়েও মোদীর সঙ্গে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।