করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। পাল্লা দিয়ে চাপ বাড়ছে হাসপাতালগুলিতে। তথৈবচ অবস্থা দেশের অধিকাংশ হাসপাতাল ও নার্সিহোমের। আর সেই পরিস্থিতিতেই নজির তৈরি করলেন এর ৮৫ বছররে জাতীয় স্বয়ং সেবক সংঘ বা আরএসএস-এর সদস্য নারায়ণ দাভালকর। তুলনায় কম বয়সী করোনা রোগীর জন্য হাসপাতালের শয্যা ছেড়ে দিয়ে স্বেচ্ছায় বাড়ি চলে যান। কিন্তু বাড়িতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা দিতে না পারায় সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৮৫ বছরের নারায়ণ দাভালক। ২২ এপ্রিল তাংর শরীরে অক্সিজেন কমে যাওয়ায় তাঁকে ভর্তি হয়েছিল নাগপুরের ইন্দিরা গান্ধী সরকারি হাসপাতালে। শ্বাসকষ্ট থাকায় তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছিল। করোনা আক্রান্ত স্বামীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে এসে শয্যা না পেয়ে খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছিল এক মহিলাকে। আর সেই ঘটনা দেখেই মত বদল করেন ৮৫ বছরের আরএসএস সদস্য। চিকিৎসকদের পরামর্শের সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে গিয়ে মহিলার স্বামীকে হাসপাতালে তাঁর শয্যাটি ছেড়ে দেন। আর তিনি বাড়িতে ফিরে যান। মহিলার স্বামী চিকিৎসার সুবিধে পেলেও প্রাণ বাঁচান যায়নি বৃদ্ধি। মঙ্গলবার নিজের বাড়িতেই মৃত্যু হয় করোনা আক্রান্তের দাভালকরের।
ভারতের করোনা সংকটের সময় হাত গুটিয়ে নিল চিন, বন্ধ করে দিল অক্সিজেনবাহী কার্গো বিমান চ
হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়ার আগেই দাভালকর চিকিৎসকদের বলেছিলেন, তাঁর বয়স ৮৫। আর সেই কারণেই তাঁর জীবনের তুলনায় অনেক বেশি দামি একটি তাজা প্রাণ। তিনি আরও বলেছেন সংসারের প্রতি তাঁর দায়িত্ব প্রায় সাড়া। কিন্তু করোনা আক্রান্ত ওই ব্যক্তির ছোট সন্তান ও স্ত্রী রয়েছে। তাই অকালে সেই ব্যক্তির মৃত্যু হলে পুরো পরিবারটি ভেসেয়াবে। আর সেই কারণেই তিনি তাঁর শয্যাটি সেই ব্যক্তিকে ছেড়ে দিচ্ছে। হাসপাতাল থেকে বাড়ি যাওয়ার আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি স্ত্রী ও তাঁর সন্তানের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। দাভালকরের এই ঘটনায় রীতিমত সাড়া পড়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে বলা হয়েছে এক তরুণ রোগীর জন্য হাসপাতালের শয্যা ছেড়েদিয়ে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়লেন আরএসএস-এর প্রবীন সদস্য।
যদিও হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, কোনও রোগী কোনও নির্দিষ্ট রোগীর জন্য শয্যা ছেড়ে যেতে পারেন না। কোন রোগীকে শয্যা দেওয়া হবে তা ঠিক করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দাভালকরের এই সিদ্ধান্ত হাসপাতালের ওপর চাপ কমাতে কিছুটা হলেও সাহায্য করেছে।