ভারতের করোনা সংকটের সময় হাত গুটিয়ে নিল চিন, বন্ধ করে দিল অক্সিজেনবাহী কার্গো বিমান চলাচল

  • ভারতের করোনা সংকটে বন্ধুত্বের হাত বাড়াল না চিন
  • উল্টে বন্ধ করে দিল কার্গো বিমান পরিষেবা 
  • ১৫ দিনের জন্য স্থগিত কার্গো বিমান 
  • সমস্যা দেখা দিতে পারে অক্সিজেন কন্টেনারের 

Asianet News Bangla | Published : Apr 26, 2021 9:26 AM IST / Updated: Apr 28 2021, 03:38 PM IST


ভারতের এই প্রবল করোনা-মহামারির সময়ও বন্ধ হয়ে হাত বাড়িতে দেওয়ার পরিবর্তে কিছুটা অসন্তোষপূর্ণ মনোভাবই দেখাল চিন। চিনের সরকারি সিচুয়ান এয়ারলাইন্স ১৫ দিনের জন্য ভারতগামী কার্গো বিমান পরিষেবা স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে। চিনের ব্যবসায়ীদের অক্সিজেন কন্টেনার ও অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেই এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার এজেন্টদের উদ্দেশ্যে  একটি চিঠি লিখেছে সিচুয়ান চুয়ানহানজ লজিস্টিক্স  কোম্পানি লিমিটেড। সেখানে বলা হয়েছে দিল্লিসহ ছটি রুটের পরিষেবা স্থগিত রাখছে। আর এই সিদ্ধান্তে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের কাছে অক্সিজেন কন্টেনার সংগ্রহের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে বলেও মনে করা হচ্ছে। চিনের এই সিদ্ধান্তে ভারতে তরল মেডিক্যাল অক্সিজেন সংকট বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে।


সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে চিঠিতে বলা হয়েছে, (ভারতে) মহামারির পরিস্থিতির হঠাৎই পরিবর্তন হয়েছে। আর সেই কারণেই আমদানি কমাতেই আমাগী ১৫ দিনের জন্য কার্গো বিমান পরিষেবার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। সিচুয়ান এয়ারলাইন্সের জন্য ভারতীয় রুট বরাবরই মূল কৌশলগত পথ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি স্থগিতাদেশটি সংস্থার পক্ষেও ক্ষতিকারণ। এই পরিস্থিতিতে তৈরি হওয়ার জন্য সংস্থার পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশও করা হয়েছে। চিনের এই সিদ্ধান্ত রীতিমত অবাক করে দিয়েছে, দেশি ও চিনা এজেন্টদের। যারা চিন থেকে অক্সিজেন কন্টেনার সংগ্রহ করে ভারতে পাঠামোর চেষ্টা করছে। শুধু এই পদক্ষেপই নয়। ভারতের এই সংকটের সময় চিনা প্রস্তুতকারণ সংস্থাগুলি প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম ৩৫-৪০ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছে বলেও অভিযোগ। পরিবহন চার্জও ২০ শতাংশের বেশি বাড়ানো হয়েছে। 

ভারতের একটি এজেন্ট জানিয়েছেন, সিচুয়ান এয়ারলাইন্সের বিমান চলাচল স্থগিত করার ফলে উভয় দেশের বেসরকারি ব্যবসায়ীদের সমস্যা বাড়িয়ে দিয়েছে। অক্সিজেন কন্টেনার দ্রুত সরবরাহ নিশ্চিত করার প্রচেষ্টাকেও ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। বর্তমান এই পরিস্থিতিতে দ্রুত কোনও সামগ্রী নিয়ে আসা কঠিন চ্যালেঞ্জের সামিল। কারণ সিঙ্গাপুর ও অন্যান্য এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে পুরনায় তা শুরু করতে হবে। তিনি আরও বলেন ভারতের করোনা পরিস্থিতির কারণে ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কার্গো বিমান যখন চিন থেকে ভারতে আসে তখন বিমান কর্মী ও চালক  পরিবর্তন হয় না। শুধুমাত্র মালপত্র খালাস করেই বিমানটি উড়ে যায়। 
 

Share this article
click me!