সোমবার থেকে আনলকের প্রক্রিয়া শুরু করল দিল্লি। ৪২ দিনের সম্পূর্ণ লকডাউনের পরে এবার স্বাভাবিক জীবনে ফেরার পালা। এমনিতেই দিল্লিতে সংক্রমণের পরিমাণ বেশ কমে এসেছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়ে ছিলেন সংক্রমণের হার কমে এসেছে ১.৫ শতাংশে।
কেজরিওয়াল নির্মাণ কাজ ও কলকারখানা খুলে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন পয়লা জুন থেকে। দিল্লিতে ক্রমশ কমছে করোনা সংক্রমণ। তাই সেদিকে নজর রেখে লকডাউন তুলে দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক সাংবাদিক বৈঠকে কেজরিওয়াল বলেন সোমবার ভোর পাঁচটা পর্যন্ত লকডাউন থাকবে। তারপরেই সকাল ছটা থেকে স্বাভাবিক গতিতে কাজ হবে দিল্লিতে।
করোনা সংক্রমণের হার কমে দাঁড়িয়েছে ১.৫ শতাংশে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যত দ্রুত সম্ভব করোনা টিকা দিল্লিবাসীর প্রত্যেককে দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। তবে খুব তাড়াতাড়ি ভারতে হানা দিতে চলেছে করোনার তৃতীয় তরঙ্গ। সেজন্য প্রত্যেককে প্রস্তুত থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন কেজরিওয়াল। তবে ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে চিন্তার কিছু নেই বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
দিল্লির স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে গত পাঁচ সপ্তাহের লকডাউনে করোনা সংক্রমণের হার কমে এসেছে। ২৮ হাজার দৈনিক সংক্রমণ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৯৪৬। ফলে বেশ আশাবাদী রাজ্য সরকার। গত ২৪ ঘন্টায় দিল্লিতে ৯৪৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কেজরিওয়াল। ১৯শে এপ্রিল প্রথম দিল্লিতে লকডাউন পর্ব শুরু হয়। পরে একাধিকবার তার মেয়াদ বাড়ানো হয়। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়ে ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
সাতই জুন পর্যন্ত লকডাউন থাকবে না বলে জানানো হয়েছে। ৯৪৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে ২৪ ঘন্টায়। পাশাপাশি, মৃত্যুর সংখ্যা ১০০-রও নীচে কমে দাঁড়িয়েছে। এদিকে, করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় বড় সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। কেন্দ্রীয় সরকারকে সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, আগামী জুন মাসের মধ্যে সংস্থাটি ১০ কোটি করোনাভাইরাসের টিকা তৈরি ও সরবরাহ করতে পারবে। করোনাভাইরাসের টিকার ঘাটতির মধ্যে সেরামের এই ঘোষণা রীতিমত স্বস্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে।
সেরামের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে কোভিড ১৯ নিয়ে দেশ ও বিশ্বের মানুষের জন্য সর্বদা উদ্বেগ ছিল তাদের সংস্থার। তাদের সিইও আদার পুনাওয়ালা সর্বদাই সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন। করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারকে সবরকম সহযোগিতা করা হবে বলেও সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে।
মে মাসের শুরুতেই এই সংস্থা জানিয়েছে জুনে সাড়ে ৬ কোটি আর জুলাইয়ে ৭ কোটি আর অগাস্ট থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় কোটি কোভিশিল্ড উৎপাদন করতে পারবে সংস্থাটি। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারকে লেখা নতুন চিঠিতে সংস্থার পক্ষ থেকে কোভিড টিকা উৎপাদন বাড়ান হবে বলেও জানান হয়েছে।