করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গ রুখতে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর ওপরেই জোর দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ইন্ডিয়ার কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, জুন মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার করোনা পরীক্ষা সংখ্যা বাড়াবে। প্রতিদিন ৪৫ লক্ষ নমুনা পরীক্ষা করা হবে। আইসিএমআর-এর প্রধান বলরাম ভার্গব জানিয়েছেন, তিনটি সংস্থার হোম টেস্টিং কিট অনুমোদনের জন্য পাইপ লাইনে রয়েছে। সেগুলি নিয়েও পর্যালোচনা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই একটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকেই বাড়িতে বসে করা যাবে করোনা পরীক্ষা।
আইসিএমআর-এর দাবি করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো গেলে আক্রান্তের সংখ্যা কমবে। কারণ কোনও ব্যক্তি যদি করোনা আক্রান্ত হয়, তবে সেই ব্যক্তি অন্যদের সংক্রমিত করার আগেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। তাতে সংক্রমণের চেইন ভেঙে যাবে বলেও দাবি করা হয়েছে। সেই কারণে আগামী দিনে কোভিড পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর ওপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিদিন ১২ লক্ষ আরটিপিসিআর টেস্ট হয়। ব়্যাপিট অ্যান্টিজেন টেস্টের সংখ্যা ১৭ লক্ষের কাছাকাছি। করোনা পরীক্ষার চাপ বাড়ছে পরীক্ষাগারগুলিতে। ডায়াগনাস্টিক সেন্টারের কর্মীরাও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবুই রিপোর্ট দিতে পরীক্ষাগারের কর্মীরা রাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এপ্রিল ও মে মাসে পরীক্ষার সংখ্যু তুলনায় করা হয় তাহলে দেখা যাবে ১৩ মে থেকে ১৯ মে পরীক্ষার সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। এই সময় কোভিডের সাপ্তাহিক ইতিবাদক হারও ছিল ১৫শতাংশ। ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে প্রতিদিন ৮ লক্ষ টেস্ট করা হয়েছে। মে মাসের শেষের দিকে টেস্টের সংখ্যা বাড়িয়ে করা হবে ২৫ লক্ষ। আর জুনের শেষ টা ৪৫ লক্ষ করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫ শতাংশে না নামলে পরীক্ষা সংখ্যা বাড়ান হবে বলেও জানিয়েছেন ভার্গব।
কোভিড চিকিৎসার জন্য ডিআরডিও ওষুধ প্রসঙ্গে ভার্গব চিকিৎসকদের বলেন এটি কোনও নতুন ওষুধ নয়। এটি প্রেসক্রিপশনে লেখা যেতে পারে। এটি ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য আগেই ব্যবহার করা হত।