ডালিয়া সরকার, প্রতিনিধি, দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাজ্যেও করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মহামারি আঁচ পড়েছে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতেও। প্রিয়জনের অ্যাম্বুলেন্স থেকে অক্সিজেন- চিকিৎসার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মানুষ। বিপর্যস্ত অবস্থায় ছেলের বিয়ের আড়ম্বর না করে, সেই টাকা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স কিনে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতে তুলে দিলেন মালবাজার মহকুমার ক্রান্তির এক ব্যাবসায়ী রমেন ঘোষ। করোনা ভাইরাসের সংকটকালে এবং অন্য সময় সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেবে এই অ্যাম্বুলেন্স। শুক্রবার ক্রান্তি তে ফিঁতে কেটে এই অ্যাম্বুলেন্সের যাত্রার সুচনা করেন ক্রান্তির বিডিও প্রবির কুমার সিনহা। উপস্থিত ছিলেন পদ্মশ্রী করিমুল হক, ক্রান্তি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক জামিরুল রহমান, সেচ্চাসেবি সংগঠন 'সাহায্যের হাত' সম্পাদক তুষার ক্রান্তি সরকার, রমেন ঘোষ এবং উনার পরিবারের সদস্যরা।
রমেন ঘোষ বলেন, কয়েক দিন আগে আমার ছেলে নচিকেতা ঘোষ এবং বারোভিসার বাসিন্দা দেবযানী ঘোষ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। করোনা ভাইসারের কারণে প্রোটোকল মেনে কোনও অনুষ্ঠান করা হয়নি। তাছাড়া করোনাকালে প্রতিদিন বারছে আক্রান্তের সংখ্য এবং মৃতের সংখ্যা। সবসময় অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা ঠিকঠাক পাচ্ছে না গরীব মানুষেরা। তাই ছেলে বিয়ের আড়ম্বর না করে, সেই টাকা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স কিনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন' সাহায্যের হাত' এর কাছে তুলে দিলেন বলেও জানিয়েছেন ব্যবসায়ী। এই অ্যাম্বুলেন্স করোনা কালে বহু মানুষের উপকারে লাগবে। এই কাজ করতে পেরে খুব ভালো লাগছে. পরিবারের সবাই খুশি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন রমেন ঘোষ।
পদ্মশ্রী করিমুল হক বলেন এটা মহান কাজ করেছেন রমেন ঘোষ। মানুষের পাশে থাকাই মহান ধর্ম। আমি চাই রমেন ঘোষের মতো সবাই এগিয়ে এসে একে , অপোরের সাহায্য করুক। তাতে আমরা করোনার মত ভাইরাসকে হারাতে পারবো। রমেন ঘোষের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে সর্ব স্তরের মানুষ।
এব্যাপারে সেচ্চাসেবি সংগঠন সাহায্যের হাত' এর সম্পাদক তুষার কান্তি সরকার বলেন, সব মানুষের জন্য এই অ্যাম্বুলেন্স পরিসেবা দিবে। খুব সামান্য খরচে এই করোনা সময় এবং পরবর্তিকালে রাত দিন এই অ্যাম্বুলেন্স মানুষের কাজে আসবে। এরজন্য রমেন বাবু এবং উনার পরিবারকে ধন্যবাদ জানাই আমরা।