মর্মান্তিক মৃত্যু করোনা রোগীদের। গোয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একসঙ্গে শুক্রবার ১৩ জন রোগীর প্রাণ গেল। এঁদের প্রত্যেকের অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। তবে এই তথ্য স্বীকার করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা। গত ১১ই মে থেকে এই নিয়ে মোট ৭৫ জন রোগীর মৃত্যু হল অক্সিজেনের অভাবে।
উল্লেখ্য সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাব নিয়ে বর্তমানে একটি মামলা চলছে বম্বে হাইকোর্টের গোয়া বেঞ্চে। সেখানেও উঠে এসেছে সরকারি হাসপাতালের ওই দুরবস্থার ছবি। যদি ৭৫ জন রোগীর মৃত্যুর পরেও মুখ খুলতে চাইছে না গোয়া সরকার। এখনও রোগীদের মৃত্যুর কারণ সরকারি ভাবে জানানো হয়নি। হাইকোর্টে গোয়া সরকার জানিয়েছে লজিস্টিক ইস্যু বা চিকিৎসার উপকরণের অভাবে মৃত্যু হয়েছে রোগীদের।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল দেবীদাস পাংগাম বেঞ্চকে জানান, সরকারি হাসপাতালে উপকরণের অভাবে মৃত্যু হয়েছে রৌগীদের। বিচারপতি নীতিন সামব্রে ও বিচারপতি মহেশ সোনকের ডিভিশন বেঞ্চকে জানানো হয়েছে যে ট্রাক অক্সিজেন সিলিন্ডার বয়ে নিয়ে আসে, তার সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটায় সমস্যা তৈরি হয়েছে।
এদিকে, শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান জানায় গোয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আরও ১৩ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। রাত দুটো থেকে সকাল ছটার মধ্যে এদের মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। গোয়া হাসপাতাল জানিয়েছে মঙ্গলবার ২৬ জনের মৃত্যু হয়, বুধবার ২১ জনের, বৃহস্পতিবার ১৫ জনের মৃত্যু হয় অক্সিজেনের অভাবে।
এদিকে, শুক্রবার ভারতের মোট করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিমাণ ২ কোটি ৪০ লক্ষ ছাপিয়ে গেল। এদিন সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রক জানিয়েছে বৃহস্পকিবার গোটা দেশে ৩,৪৩,১৪৪ টি নতুন কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঘটনা নথিবদ্ধ করা হয়েছে। আর গত ২৪ ঘন্টায় কোভিড জনিত কারণে প্রাণহানি ঘটেছে ৪০০০ জনের। ফলে ভারতে কোভিডে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ২,৬২,৩১৭-এ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ড্যাশবোর্ড অনুসারে দেশের মোট করোনা সংক্রমণের সংখ্যা এখন ২,৪০,৪৬,৮০৯। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত করোনা বুলেটিন অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালের তুলনায় এদিন আরো একটু কমেছে চিকিৎসাধীন রোগীর চাপ। ভারতে এই মুহূর্তে করোনার সঙ্গে লড়াই করছেন ৩৭,০৪,৮৯৩ জন, যা দেশের মোট কোভিড-১৯ সংক্রমণের ১৫.৬৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩,৪৪,৭৭৬ জন। সব মিলিয়ে ভারতে এখনও অবধি করোনামুক্ত হয়েছেন, মোট ২,০০,৭৯,৫৯৯ জন। এরফলে, দেশের বর্তমান সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৮৩.২%