বিশ্বকাপ খেলাকেই তিনি পাখির চোখ করেছিলেন। সেই কারণে ২০১৮ সালের শেষ দিকে লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন আম্বাতি রায়ডু। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর সেই স্বপ্ন পূর্ণ হয়নি। বিজয় শঙ্কর চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ার পর মায়াঙ্ক আগরওয়ালের দলে অন্তর্ভুক্তিতেই দেওয়ালের লিখনটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আর দেরি করলেন না। বুধবারই সব ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করে দিলেন ভারতীয় মিডল অর্ডার ব্য়াটসম্য়ান আম্বাতি রায়ডু।
ভারতীয় ক্রিকেট মহলে বরাবরই দারুণ প্রতিভাবান হিসেবে পরিচিত হায়দরাবাদের এই ক্রিকেটার। কিন্তু কোনওদিনই নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি তিনি। নিয়মিত সদস্য হয়ে উঠতে পারেননি ভারতীয় দলের। প্রথমে বোর্ডের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছিলেন আইসিএল খেলতে গিয়ে। তারপর কখনও বাধ সেধেছে তাঁর ফিটনেস, কখনও ভাল মানের জোরে বোলিং-এর বিরুদ্ধে তাঁর দুর্বলতা।
আরও পড়ুন - বারবার উপেক্ষা, রায়ডু কি এবার বরফের দেশে! এল দারুণ অফার
আরও পড়ুন - বিজয় শঙ্করের চোটের পিছনে রয়েছে কালা জাদু! লেগেছে থ্রিডি নজর
আরও পড়ুন - ফের চোট ধাক্কা, বিশ্বকাপ এবারের মতো শেষ থ্রিডি ক্রিকেটারের! বদলি হিসেবে উঠছে এক আনকোরা নাম
অথচ, বোর্ডের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর তিনি ক্রিকেটের মূল স্রোতে ফিরে এসে বিরাট কোহলির ভোট পেয়েছিলেন তিনি। ভারতীয় দলের বর্তমান অধিনায়কের দারুণ আস্থাভাজন হয়ে উঠেছিলেন রায়ডু। একসময় নিজের তিন নম্বর জায়গাটাও রায়ডুকে ছেড়ে দিয়েছিলেন বিরাট। কিন্তু, সুযোগকে কাজে লাগাতে পারেননি তিনি।
২০১৮ সালের আইপিএল-টা দুর্দান্ত গিয়েছিল রায়ডুর। এরপরই ফের ভারতের একদিনের দলে ফিরেছিলেন তিনি। এশিয়া কাপ থেকে ভারতের চার নম্বর ব্যাটসম্য়ান হিসেবে তাঁকে টানা খেলিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, এই বছরের গোড়ায় তাঁর ক্রমশ পড়তি ফর্ম ও পাশাপাশি বিজয় শঙ্কর ও ঋষভ পন্থের মতো তরুণ প্রতিভাদের উত্থানে, বিশ্বকাপ সমীকরণ থেকে বাদ হয়ে যান তিনি।
প্রাথমিক ১৫ জনের দলে না রাখা হলেও, রিজার্ভ হিসেবে তাঁকে তৈরি থাকতে বলেছিলেন নির্বাচকরা। কিন্তু প্রথমে শিখর ধাওয়ানের বদলে পন্থ ও পরে শঙ্করের বদলে মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে নেওয়া হয়। তাঁর দিকে ঘুরেও তাকাননি নির্বাচকরা। আর এরপরই অবসরের ঘোষণা করলেন রায়ডু।
ভারতের হয়ে কখনই টেস্ট দলে ডাক পাননি। ৬টি টি২০ খেলছেন, বলার মতো কিছু করতে পারেননি। একদিনের ম্য়াচ খেলেছেন ৫৫টি। রান করেছেন ১৬৯৪। ৩টি শতরান ও ১০টি অর্ধশতরান রয়েছে তাঁর।