বৃহস্পতিবারের আগে ভারত ও নিউজিল্যান্ড দুটি দলই বিশ্বকাপে নিজেদের সবকটি ম্যাচ জিতেছিল। ফলে একটিও পয়েন্ট হারাতে হয়নি তাঁকে। তাই টুর্নমেন্টের এখনও পর্যন্ত অপরাজিত দুই দলের মোকাবিলা ঘিরে দারুণ উন্মাদনা ছিল সমর্থক মহলে। কিন্তু শেষ অবধি ট্রেন্ট ব্রিজে দেখা গেল অ্যান্টিক্লাইম্যাক্স, বৃষ্টিতে শেষ পর্যন্ত বাতিলই হয়ে গেল এই ম্যাচ। ফলে দুই দলই টুর্নামেন্টে প্রথম পয়েন্ট হারালো।
এদিন কিন্তু ম্যাচ করাই যাবে না, এমনটা শুরুতে মনে হয়নি। হাল্কা বৃষ্টি হচ্ছিল সকল থেকেই। কিন্তু ম্যাচের আগে দিয়ে তা থেমেও গিয়েছিল। কিন্তু ভেজা মাঠে ক্রিকেটারদের চোট আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আম্পায়াররা ঝুঁকি নিতে চাননি। মাঠ শুকনো করার জন্য মাঠ-কর্মীরা কাজে লাগেন। কিন্তু পরের বার মাঠ ও পিচ পরিদর্শনে আম্পায়ার যেতে না যেতেই ফের ঝমঝমিযে বৃষ্টি আসে। এইভাবে বারেবারে লুকোচুরি খেলল বৃষ্টি।
দুই দলই পয়েন্ট হারালেও ক্ষতিটা কিন্তু বেশি হল বিরাট কোহলির দলেরই। নিউজিল্যান্ড ইতিমধ্য়েই তিনটি ম্যাচ জিতে নিয়েছে। এদিন এক পয়েন্ট পাওয়ার ফলে তাদের আর বাকি তিন ম্যাচের মধ্যে দুটি ম্যাচ জিতলেই শেষ চারে যাওয়াটা পাকা।
অন্যদিকে বিরাট কোহলিরা এখনও পর্যন্ত দুটি ম্যাচ খেলেছেন। দুর্দান্ত ফর্মে আছেন তাঁরা। বিশ্বকাপের গা-ঘামানো ম্যাচে কিউইদের বিরুদ্ধে জিততে না পারলেও খাতায কলমে তাদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিল ভারতীয়রা। শেষ আট ম্যাচের ছটিতেই ভারত জয়ী হয়েছিল। ফলে এই ম্যাচ থেকে পুরো ২ পয়েন্ট পেতে পারত ভারত। সেই সুযোগ পেলেন না বিরাটরা। পরের পাকিস্তান ম্য়াচেও বৃষ্টির পুর্বাভাস রয়েছে। যদি ওই ম্য়াচও ধুয়ে যায়, তাহলে কিন্তু সমস্যায় পড়তে হবে।
এদিন যদিও ম্যাচ বাতিল হওয়ার পর বিরাট কোহলি দাবি করেছেন বৃষ্টিতে খেলা না হলেও তাঁদের ছন্দপতনের সম্ভাবনা নেই। দল ভাল ফর্মে আছে। দু-একটি প্র্যাকটিস সেশন পেলেই সব ম্যাচ খেলতে না পারার জড়তা কেটে যাবে। রবিবার ম্যাঞ্চেস্টারে অন্তত ম্যাচ হবে বলেই আশা ভারত অধিনায়কের। একই রকম আশা রাখছে আইসিসিও। বিশ্বকাপের সবচেয়ে বেশি টিকিটের চাহিদা থাকা ম্যাচটি করতে না পারলে কিন্তু স্পনসররা তাদের ছেড়ে কথা বলবে না।