মন জুড়ে ২০১১, এবার লর্ডসে হাতে চাই কাপ - সোজাসাপ্টা রকস্টার হার্দিক, দেখুন ভিডিও

  • ২০১১ সালে ভারত বিশ্বকাপ জেতার পর রাস্তায় নেমে নেচেছিলেন
  • আট বছর পর তাঁর কাঁধেই কাপ জেতানোর ভার
  • আইসিসি-কে হার্দিক জানালেন আগামী কয়েকদিনের পরিকল্পনা

 

amartya lahiri | Published : Jun 13, 2019 2:24 PM IST / Updated: Jun 13 2019, 08:18 PM IST

বিশ্বকাপে হার্দিক পাণ্ডিয়া ভারতের হয়ে অত্যন্ত বড় ভূমিকা নেবেন, এমনটাই আশা সমর্থকদের। কিন্তু হার্দিকের দাবি দর্শকদের এই প্রত্যাশা তাঁর উপর কোনও বাড়তি চাপ ফেলছে না। ভারতীয় দলে 'রকস্টার' হিসেবে পরিচিত হার্দিকের কাছে এখন বাকি সব তুচ্ছ হয়ে গিয়েছে। এখন তাঁর কাছে একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, ১৪ জুলাই লর্ডসের ব্যালকনিতে বিশ্বকাপের ট্রফি হাতে তোলা।  
 
আইসিসিকে এক বিশেষ সাক্ষাতকারে ভারতীয় তারকা অলরাউন্ডার জানিয়েছেন ২০১১ সালে যখন ভারত ট্রফি জিতেছিল তখন যে উত্তেজনা তিনি অনুভব করেছিলেন তার স্বাদ আরও একবার পেতে চান তিনি। এখনও সেই দিনের কথা ভাবলে তাঁর গায়ের লোম খাড়া হয়ে ওঠে। কাজেই আগামী কয়েকদিনের পরিকল্পনাটা তাঁর অত্যন্ত সরল। বিশ্বকাপটা জিতে ফের নিজেদের দখলে আনা।  

আরও পড়ুন: নটিংহাম ছেড়ে বৃষ্টিকে কোথায় যেতে বললেন কেদার - আলোড়িত সমর্থকরা, দেখুন ভিডিও

২০১১ সালে ভারতের শেষবার কাপ জয়ের সময় স্রেফ একজন শিক্ষানবিশ ক্রিকেটার ছিলেন তিনি। এখনও মনে আছে ওয়াঙ্খেড়ের সেই রাতের কথা। জানিয়েছেন তিনি ও তাঁর বন্ধুরা সেই রাতে রাস্তায় নেমে উথসব করেছিলেন। দুই-এক বছর আগে তাঁর এক বন্ধু তাঁদের সেই উদযাপনের একটি ছবি হার্দিককে পাঠিয়েছিলেন। হার্দিক জানিয়েছেন একসঙ্গে অত মানুষকে এক রাতে রাস্তায় বের হতে তিনি আগে কখনও দেখেননি।

২৫ বছরের অলরাউন্ডার বর্তমানে ভারতীয় দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। বিশ্বকাপে তিনি ইতিমধ্যেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন হার্দিক। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৪ নম্বরে নেমে তিনি ২৭ বলে ৪৮ রান করেন। তাঁর ওই ঝোড়ো ইনিংসের জোরেই ভারত সাড়ে তিনশ'র বেশি রান তুলতে পেরেছিল।

তবে সমর্থকদের প্রত্যাশার চাপ নিয়ে মজা করেই হার্দিক বলেছেন তাঁর উপর কোনও চাপ নেই। তিনি বলেন, 'কিসের চাপ, ১.৫ বিলিয়ন মানুষই তো মাত্র কাপটা জিততে চাইছেন।' তবে তিনি আরও জানিয়েছেন, তিনি ক্রিকেট খেলেন ভালবেসে। আবেগ থেকে। চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করেন। গত সাড়ে তিন বছর ধরে বিশ্বকাপের জন্যই নিজেকে তৈরি করেছেন।

Share this article
click me!