ম্যাচের আগেই শর্ট বলের হুমকি দিয়ে রেখেছিলেন কার্লোস ব্রেথওয়েট। আর ম্য়াচে ওয়েস্টইন্ডিজ ঠিক সেই পরিকল্পনাই নিয়েছিল। আর তার প্রয়োগও খুব ভালভাবেই করল ওয়েস্টইন্ডিজ। কটরেল, ওশেন থমাস, রাসেল, হোল্ডারদের দাপটে ১৬ ওভারে ৭৯ রানে ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার। সেখান থেকে স্টিভ স্মিথ (৭৩) প্রথমে অ্যালেক্স কেরি (৪৫) সঙ্গে তারপর নাথান কুল্টার নাইল (৯২) সঙ্গে দুটি জুটি গড়লেন। আর তাতেই অস্ট্রেলিয়া ৪৯ ওভারে ২৮৮ রানে শেষ করল ইনিংস।
এইবারের বিশ্বকাপে সোনালি দিনের ওয়েস্ট ইন্ডিজের নস্টালজিয়া ফিরিয়ে আনছে ওয়েস্টইন্ডিজ। পাকিস্তানের পর ফের আরও একবার দুর্দান্ত শর্ট বল দেখা গেল ক্যারিবিয়ান বোলারদের তরফে। তৃতীয় ওভারে ফিঞ্চকে ফিরিয়ে দিয়ে প্রথম ধাক্কাটা দিয়েছিলেন ওশেন থমাস। তারপর কটরেল, রাসেল, হোল্ডারদের দাপটে পর পর ফিরে গিয়েছিলেন ওয়ার্নার (৩), খোয়াজা (১৩), ম্যাক্সওয়েল (০), স্টইনিস (১৯)।
এখান থেকে প্রপথম প্রতিরোধ গড়ে তোলেন স্টিভ স্মিথ ও উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স কেরি। তারা দুজনে অস্ট্রেলিয়ার রান ১০০ পার করে দেন। কিন্তু এরপর ৩১তম ওভারে ফের আঘাত হানেন আন্দ্রে রাসেল। আউট হয়ে যান অ্যালেক্সরি। সেই সময় অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল ১৪৭-৬। এখান থেকে অস্ট্রেলিয়া ২০০ রান তুলতে পারবে কি না তাই নিয়েই প্রশ্ন ছিল। কিন্তু এখান থেকেই শুরু হয় নাথান কুল্টার নাইল ঝড়।
একদিক ধরে রেখেছিলেন স্টিভ স্মিথ। আর অপর প্রান্তে কেরিয়ারের সেরা ইনিংস খেলে গেলেন নাথান কুল্টার নাইল। গোটা বিশ্ব তাঁকে চেনে জোরেলার হিসেবে। এই ম্যাচের আগে তাঁর সর্বোচ্চ রান ছিল ৩৪। গড় ১৩। তিনিই এদিন মাত্র ৬০ বলে ৯২ রান করলেন। মারলেন ৮টি চার ও ৪টি ছয়। তাঁর ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল যেন রূপকথার জগতে ব্যাট করছেন।
স্মিথ ও নাইল যখন ব্য়াট করছিলেন তখন মনে হচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া ৩০ রান অবশ্যই পার করবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কটরেলের বলে ৪৫ তম ওভারে বাউন্ডারি লাইনে ওশেন থমাসের দুরন্ত ক্যাচে ফিরে যান স্মিথ। আর কুল্টার নাইল ফিরলেন ৪৯তম ওভারে ব্রেথওয়েটের বলে। শতরান করতে না পারলেও তাঁর এই ইনিংস কিন্তু বিশঅবকাপের আর্কাইভে ঢুকে যাবে।