বিশ্বকাপ ২০১৯-এর প্রথম ম্যাচেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৬ উইকেটে পরাজিত করেছে ভারত। রোহিত শর্মার চরিত্র-বিরোধী শতরানেই এসেছে জয়। কিন্তু, তারপরেও ম্য়াচের পর ভারতীয় সমর্থকদের চোখে নায়ক হয়ে উঠলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তবে ক্রিকেটিয় পারফরম্যান্সের জন্য নয়, ধোনি নায়ক হলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই ধোনির উইককিপিং গ্লাভসে ভারতীয় সেনাবাহিনীর 'বলিদান' ব্যাজ দেখা যায়। ম্যাচের শুরুতে কিন্তু ধোনির এই কীর্তির কথা জানা যায়নি। ৪০ তম ওভারে চাহালের বলে এগিয়ে গিয়ে মারতে গিয়ে আউট হন দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার ফেহলুকাওইও। আরও একবার ধোনি বিদ্য়ুত গতির স্টাম্পিং দেখা যায়। সেই সময় তাঁর গ্লাভসে ওই ব্য়াজ চোখে পড়ে ক্রিকেট বিশ্বের।
ধোনির গ্লাভস-এ সেই ব্য়াজ চিনে নিতে দেরী করেননি ধোনিভক্তরা। আর তারপরেই ধোনির গ্লাভস-এ 'বলিদান' ব্যাজের ওই ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। ম্যাচে ওই স্টাম্পিং ছাড়াও ৩৪টি গুরুত্বপূর্ণন রানও করেন তিনি। কিন্তু সব ছেড়ে সোশ্যাল মিডিয়া মেতে ধোনির ওই বিশেষ গ্লাভস নিয়েই। উপচে পড়ছে প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের জন্য ভালোাসা, শ্রদ্ধা।
বরাবরই সেনাবাহিনীর প্রতি ধোনির আকর্ষণ রয়েছে। একটা সময় বাহিনীতে যোগ দেওয়ার খুব ইচ্ছে ছিল তাঁর সেই কথাও বারবারই জানিয়েছেন। ২০১১ সালে ভারতকে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ দেওয়ার পর কিছুটা হলেও ধোনির সেই ইচ্ছে পূর্ণ হয়েছিল। তাঁকে ভারতীয় সেনবাহিনীর সাম্মানিক লেফট্যানেন্ট কর্নেলের পদ দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়ে আগ্রাতে কিছুদিন প্যারা রেজিমেন্টের সঙ্গে তিনি ট্রেনিং-ও নিয়েছিলেন। এছাড়া একাধীকবার কাশ্মীরের বিভিন্ন সেনা ঘাঁটিতে গিয়ে বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সময়ও কাটাতে দেখা গিয়েছে প্রাক্তন অধিনায়ককে।
এর আগে চলতি বছরের শুরুতে পুলওয়ামার জঘন্য জঙ্গি হামলার ঘটনার পর, শহিদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ও সেনা সদস্যদের প্রতি সংহতি প্রকাশে ভারতীয় দল আইসিসির অনুমতি নিয়ে সেনাবাহিনীর ক্যামোফ্লাজ টুপি পড়েছিলেন। তাই নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল পাকিস্তান। এইবার ধোনির গ্লাভসে সেনার বলিদান ব্য়াজ থাকা নিয়ে কোনও বিতর্ক হয় কিনা সেটাই দেখার।