
সময়টা যেন কিছুতেউ ভালো যাচ্ছে বেহালার গঙ্গোপাধ্য়ায় পরিবারের। লাগাতার করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) থাবা লেগেই রয়েছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের (Sourav Ganguly) পরিবারে। করোনা আক্রান্ত হয়ে ৪ দিন হাসপাতালে থাকার পর গত সপ্তাহেই মুক্তি পেয়েছিলেন বর্তমান বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট (BCCI President)। এর আগে বিশ্ব অতিমারী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সৌরভের দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় (Snehashis Ganguly) ও সৌরভের মা। এবার ফের করোনার থাবা সৌরভের পরিবারে। এবার কোভিডে আক্রান্ত হলেন পরিবারের আরও ৩ জন সদস্য। টেস্ট পজেটিভ এসেছে ছোট কাকা, খুড়তুতো ভাই ও ভাতৃ বধূ। সকলেরই মৃদু উপসর্গ রয়েছে। তাদের হাল্কা জ্বর ও সর্দি রয়েছে। আপাতত বাড়িতেই হোম আইসোলেশনে রয়ছে আক্রান্তরা। খুব একটা শারীরিক সমস্যা নেই। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলছেন সকলেই।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ ডিসেম্বর করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি গয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়। জ্বর ও সর্দি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও, একদিন পর থেকেই সম্পূর্ণ সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক (Former Indian Captain)। সৌরভের অন্যান্য সব পরীক্ষার ফল স্বাভাবিক ছিল, শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ছিল ৯৯ শতাংশ। তবে ভর্তির পরই চিকিৎসার জন্য তিন সদস্যের চিকিৎসক দল গঠন করা হয়। সেই দলে ছিলেন সপ্তর্ষি বসু, সরোজ মণ্ডল ও সৌপ্তিক পাণ্ডা। এ ছাড়াও পরামর্শ নেওয়া হয় চিকিৎসক দেবী শেঠি ও আফতাব খানের। ভর্তি হওয়ার পর থেকেই সৌরভের শাীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল ছিল। তবে কোভিডের জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা অনুসরণ করা হয়। সৌরভকে মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ককটেল থেরাপি দেওয়া হয়। দেওয়া হয় ডক্সি সাইক্লিনও। দেওয়া হয় স্টিম। সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখেন চিকিৎসকরা। সৌরভের ওমিক্রন পরীক্ষার রিপোর্টও নেগেটিভ আসে। শুক্রবার হাসপাতাল থেকে মুক্তি পান বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট।
শারীরিক দিক দিয়ে ২০২১ সালটা খুব একটা ভালো যায়নি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও তার পরিবারের। ২০২১-এর ২ জানুয়ারি বছর শুরুতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়। হার্টে ব্লকেজ ধরা পড়েছিল প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের। তারপর দুবারে হার্টে স্টেন্টিং করার জন্য ২ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যেই কারণে এখনও অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয় বিসিসিআই সভাপতিকে। সৌরভের দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্য়ায়ের হার্টেও ব্লকেজ ধরা পড়ে। তারও স্টেন্টিং করানো হয়। করোনাতেও আক্রান্ত হয়েছিলেন সৌরভের দাদা ও মা। এবার নতুন বছরেও আরও ৩ জন সৌরভের পরিবারে আক্রান্ত হলেন কোভিডে।