সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিসিসিআইয়ের মসনদে বসতে চলাকে খুবই সঠিক নির্বাচন বলে মন্তব্য করলেন প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে অশোক ভট্টাচার্যের গভীর সম্পর্ক সর্বজনবিদিত। সুতরাং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিসিসিআই সভাপতি হওয়াতে তিনি যে প্রতিক্রিয়া দেবেন, সেটাই স্বাভাবিক। সৌরভের নির্বাচনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অশোক ভট্টাচার্য। সেইসঙ্গে তিনি জানান, সৌরভকে শুভেচ্ছা জানিয়ে রবিবার রাতেই তিনি এসএমএসও করেছেন। বিসিসিআইয়ের সভাপতি হিসেবে সৌরভের নির্বাচিত হওয়াটা বাংলার মানুষকে গর্বিত করবেন বলেই মনে করছেন তিনি।
শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র অশোক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, সৌরভের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে এবং সেই সম্পর্ক আজকের নয়, বেশ কয়েক দশকের। সম্প্রতি সৌরভ তাঁর সঙ্গে দেখাও করতে এসেছিলেন বলে জানিয়েছেন অশোক ভট্টাচার্য। সেখানেই বিসিসিআইয়ের সভাপতি পদ নিয়ে তাঁদের আলোচনা হয়েছিল। অশোক ভট্টাচার্যের জানিয়েছেন, সৌরভ নিজেই যুক্তি দিয়ে বুঝিয়েছিলেন কেন এই মুহুর্তে তাঁর পক্ষে বিসিসিআই সভাপতি হওয়া সম্ভব নয়। তবে অশোক ভট্টাচার্যের মতে,যেভাবে রাতারাতি বিভিন্ন অঙ্কের খেলা সৌরভের নির্বাচনের পক্ষে গেল, তাতে একজন খুব সঠিক মানুষকে সঠিক পদে নির্বাচিত করা হয়েছে।
বিসিসিআই সভাপতি পদে সৌরভের নির্বাচন ঘিরে যেভাবে রাজনৈতিক সমীকরণের হাওয়া উঠেছে, তার বিরোধিতা করেছেন অশোক ভট্টাচার্য। তাঁর মতে, সৌরভ নিজের যোগ্যতাতেই বিসিসিআইয়ের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর মনে হয় না, এর জন্য় কোনও রাজনৈতিক সমীকরণের দরকার পড়েছে। যদিও এদিন সিএবি সভাপতি পদে সৌরভের নির্বাচন নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, সেই প্রসঙ্গও টেনে আনেন অশোক ভট্টাচার্য। তিনি ফের একবার বলেন, সৌরভ একজন সফল ক্রীড়াবিদ এবং তাঁর নিজের যোগ্যতাও আছে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে সিএবি সভাপতি পদে সৌরভের নাম ঘোষণা করেছিলেন, সেটা অবশ্যই রাজনীতি। তিনি এর বিরোধিতা করেছিলেন, আজও করেন। সৌরভের ক্রীড়া দক্ষতা এবং ক্রীড়া প্রশাসক তাঁর যা যোগ্যতা, তার সঙ্গে রাজনীতি যোগ করাটা ঠিক নয় বলে মনে করেন অশোক ভট্টাচার্য।