শ্রীলঙ্কার সাফল্যের পেছনে কী 'অবদান' রয়েছে ভারতের, জেনে নিন বিস্তারিত

এশিয়া কাপের (Asia Cup 2022) ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল (Sri Lanka cricket Team)।  দাসুন শানাকাদের এই সাফ্যলের পেছনে কিছুটা কারণ রয়েছে বিসিসিআই (BCCI) ও ভারতীয় ক্রিকেট দলেরও (Team India)।

Web Desk - ANB | Published : Sep 12, 2022 7:55 AM IST / Updated: Sep 12 2022, 01:27 PM IST

এশিয়া কাপ খেলতে যখন শ্রীলঙ্কা দল আরব আমিরশাহিতে পা রেখেছিল তখন চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে তাদেরকে  কেউই ধরেনি। ক্রিকেট বিশ্ব কার্যত ধরেই নিয়েছিল এই প্রতিযোগিতার মূল আকর্ষণ ভারত-পাকিস্তানের দ্বৈরথ। ভারত-পাকিস্তানের ফাইনাল সহ মোট ৩ বার দেখা হবে তা একপ্রকার ধরে নিয়েছিল অনেকেই। কিন্তু সকলকে ভুল প্রমাণ করল শ্রীলঙ্কা। ইচ্ছে, জেদ,পরিশ্রম, চেষ্টা থাকলে যে সাফল্য আসবেই সেটাই প্রমাণ করে দিলেন দাসুন শানাকা, ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গারা। এশিয়া কাপের ফাইনালে ব্যাটে বলে দুরন্ত পারফর্ম করে ২৩ রানে ম্যাচ জিতে ষষ্ঠবার এশিয়া সেরা হল শ্রীলঙ্কা। আর আপনারা জানলে অবাক হবেন শ্রীলঙ্কার এই সাফল্যের পেছনে খানিক অবদান রয়েছে ভারতেরও। 

তবে এই সাফল্যের পথটা একেবারেই সহজ ছিল না শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের। দেশে ডামাডোল পরিস্থিতি। রাজনৈচিক অস্থিরতা এখও অব্যাহত। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া। এই পরিস্থিতিতেই গত বছর ভারতীয় দল শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়েছিল। একই সময় ইংল্য়ান্ডে বিরাট-রোহিতরা থাকায় দ্বিতীয় সারির দল শ্রীলঙ্কা সফরে পাঠিয়েছিল বিসিসিআই। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট কর্তাদের অভিযোগ, অনেকটা সমাজসেবামূলক মানসিকতা প্রকাশ করেছিল বিসিসিআই। যা খুব একটা ভালোভাবে নেয়নি শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা। সেখান থেকেই তাদের মধ্যে ঘুড়ে দাঁড়ানোর জেদ জন্মায়। একইসঙ্গে ৯০-এর দশকে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের বিশ্বে যে খ্যাতি ছিল পুনরুদ্ধার করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। সেই লডাইয়ের ফল হিসেবেই অবশেষে ফের এশিয়া সেরার শিরোপা জিতল দাসুন শানাকার দল। 

ফাইনাল জেতার পর মেগা ম্যাচের নায়ক দাসুন শানাকা বলেন,'দু’দশক আগে আমাদের ক্রিকেটের একটা পরিচিতি ছিল। আমরা আবার সেটাই ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। কোচ ক্রিস সিলভারউড আমাদের সাহায্য করছেন। গত ১২-১৫ মাসে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে আমরা অনেক তরুণ ক্রিকেটারকে সুযোগ দিয়েছি। সে জন্যই এই সাফল্য আসছে। আমরা এখন অনেক আত্মবিশ্বাসী। আমরা এখন আর দল হিসাবে পিছিয়ে নেই। আমিরশাহিতে যখন এসেছিলাম, তখন সকলেই আমাদের দুর্বল মনে করছিল। ভারত এবং পাকিস্তান নিজেদের দিনে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, তা আমাদের অজানা ছিল না। কিন্তু আমরা চেয়েছিলাম ক্রিকেট বিশ্বকে নিজেদের শক্তির পরিচয় দিতে। এই শক্তি দেশবাসীকেও মানসিক বল দিতে পারে।' ফলে এই খারাপ পরিস্থিতিতে ক্রিকেট হাসি ফোটাল দ্বীপ রাষ্ট্রের মুখে। 

আরও পড়ুনঃফাইনালে পর্যুদস্ত পাকিস্তান, ২৩ রানে ম্যাচ জিতে ষষ্ঠবার এশিয়া সেরা হল শ্রীলঙ্কা

আরও পড়ুনঃটি২০ বিশ্বকাপে ভারত ফেভারিট নয়, জানিয়ে দিলেন প্রাক্তন বিশ্বজয়ী ক্রিকেটার

Share this article
click me!