
ম্যাচের ভাগ্য ঠিক হয়ে গিয়েছিল চতুর্থ দিনের শেষেই। অস্ট্রেলিয়ার (Australia)দেওয়া ৪৬৮ রান তাড়া করতে নেমে জো রুট (Joe Root), ডেভিড মালান সহ প্রথম সারির ৪ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে চাপে ছিল ইংল্যান্ড (England) দল। ফলে পঞ্চম দিনে অস্ট্রেলিয়ার জয় ছিল শুধু মাত্র সময়ের অপেক্ষা। পঞ্চম দিনে জস বাটলার ও ক্রিস ওকস লড়াই করলেও, শেষ রক্ষা হয়নি। ১৯২ রানে শেষ হয়ে য়ায় ব্রিটিশ লায়ন্সদের ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নেন ঝাই রিচার্ডসন। ২টি করে উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক ও ন্যাথান লিয়ঁ। একটি উইকেট নেন মাইকেল নেসের। ২৭৫ রানে অ্যাডিলেডে দিন-রাতের দ্বিতীয় টেস্ট জিতে ৫ ম্য়াচের অ্যাসেজ সিরিজে (Ashes Series) ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ব্যাগি গ্রিনরা। এই জয়ের ফলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (World Test Championship) ব়্যাঙ্কিংয়েও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যুগ্মভাবে শীর্ষস্থানে উঠে এল অস্ট্রলিয়া।
দিন-রাতের টেস্টে প্রথমে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে ৪৭৩ রান করে অস্ট্রেলিয়া। সেঞ্চুরি করেন মার্নাস লাবুশানে। ৯৫ ও ৯৩ রানের ইনিংস খেলেন ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথ। অর্ধশতরান করেন অ্যালেক্স ক্যারে। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন বেন স্টোকস। জবাবে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২৩৬ রানে। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৮০ রানের ইনিংস খেলেন ডেভিড মালান। ৬২ রান করেন জো রুট। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক। ৩টি উইকেট নেন ন্যাথান লিয়ঁ, ২টি উইকেট নেন ক্যামেরন গ্রিন ও একটি উইকেট নেন নেসের। ইংল্যান্ডকে ফলো-অন না করিয়ে ২৩০ রানে ৯ উইকেটে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে অজিরা। প্রথম ইনিংসে শতরানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে অর্ধশতরান করেন লাবুশানে। ৫১ রানের ইনিংস খেলেন ট্রেভিস হেডও। প্রথম ইনিংসের লিড নিয়ে ৪৬৮ রানে টার্গেট দেয় জো রুটের দল। রান তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রানে রখেলেন ক্রিস ওকস। ২০৭ বল খেলে ২৬ রান করে ম্য়াচ ড্র করার মরিয়া চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন জস বাটলার।
এই ম্য়াচ জয়ের ফলে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ব়্যাঙ্কিংয়ে অনেকটা এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া দল। অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কা এখন পর্যন্ত তাদের দুটি ম্যাচই জিতেছে। শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট এখন ১০০ শতাংশ করে। এর পরেই রয়েছে পাকিস্তান, তাদের ৭৫ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে তিন নম্বরে রয়েছে ভারত। ভারতের জয়ের শতাংশ ৫৮.৩৩। অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার পয়েন্ট ২৪-২৪। সেখানে পাকিস্তানের পয়েন্ট ৩৬ এবং ভারতের পয়েন্ট ৪২। কিন্তু তাদের শতাংশের হার কম। কিন্তু যেহেতু ,ব দেশ সমান সংখ্যক সিরিজ খেলে না বলে ম্যাচ জয় বা পয়েন্ট নয় জয়ের শতাংশকে মাপকাঠি হিসেবে ধরে আইসিসি। অ্যাসেজে যে দুরন্ত গতিতে ছুটথছে অস্ট্রেলিয়া তাতে আরও এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল বলেই মনে করছে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।