আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১-এর (ICC T20 World Cup 2021) প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার (Australia vs South Africa)রুদ্ধশ্বাস লড়াই। ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১১৮ রান করে টেম্বা বাভুমার (Temba Bavuma)দল। জবাবে শেষ ওভারে ২ বল বাকি থাকতে জয় পায় অ্যারন ফিঞ্চের (Aaron Finch)দল।
আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১-এর (ICC T20 World Cup 2021) প্রথম ম্যাচেই লো স্কোরিং রুদ্ধশ্বাস লাস্ট ওভার থ্রিলারের সাক্ষী থাকল ক্রিকেট বিশ্ব। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার (Australia vs South Africa) টানটান লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হাসল অ্যারন ফিঞ্চের Aaron Finch)দল। ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১১৮ রান করে প্রোটিয়ারা। অনেকেই ভেবেছিল খুব সহজেই হয়তো জয়ের লক্ষ্যে যাবে ব্য়াগি গ্রিণরা। কিন্তু সামান্য পুঁজি নিয়ে যে লড়াই করে গেল রাবাডা, নকিয়া, সামসীরা তা প্রশংসার দাবি রাখে। অপরদিকে স্লো উইকেটে দল গত প্রয়াসেই জয়ের লক্ষ্যে পৌছায় অস্ট্রেলিয়া। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন স্টিভ স্মিথ (Steve Smith)। শেষে ২ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে ম্য়াচ জেতে অজিরা।
এদিন অজিদের বোলিং অ্যাটাকের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই নড়বড়ে দেখিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপকে। দলের ২৩ রানের মধ্যেই প্যাভেলিয়নে ফেরত যান তিন জন তারকা ব্যাটসম্যান অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা, কুইন্টন ডিকক ও ভ্যান ডার ডুসেন। তারা সংগ্রহ যথাক্রমে ১২, ৭ ও ২ রান। হেনরিখ ক্লাসেন কিছুটা লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করলেও বেশিক্ষণ সফল হননি। তিনিও আউট হন ১৩ রান। করে। যদিও একদিক থেকে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন আইডেন মার্করাম। কয়েকটি অনবদ্য শটও খেলেন তিনি। ডেভিড মিলারের সঙ্গে ৩৪ রানের পার্টনারশিপও গড়েন মার্কারাম। কিন্তু মিলারও ১৬ রান করে আউট হয়ে যান।
এরপর কার্যত তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে প্রোটিয়াদের ব্যাটিং লাইনআপ। পিটোরিয়াস ১, কেশব মহারাজ ০ করে আউট হন। ৪০ রান করে আউট হন মার্করামও। একসময় ৯৮ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা দল। শেষের দিকে রাবাডা ১৯ রানের ইনিংস না খেললে ১১৮ পর্যন্ত পৌছানো হত না বাভুমার দলের। শেষে দলেরল ১১৫ রানের মাথায় আনরিখ নকিয়া ২ রান করে আউট হন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১১৮ রান করে প্রোটিয়ারা। সকল অজি বোলাররা উইকেট পাওয়ায় খুশি। জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার টার্গেট ছিল ১১৯ রান।
রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ক্রমাগত ব্যাবধানে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপও। দ্বিতীয় ওভারেই খাতা না খুলে প্যাভেলিয়নে ফেরত যান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ডেভিড ওয়ার্নার শুরুটা ভালো করলেও ১৫ রান করেই আউট হয়ে যান। মিচেল মার্শও আউট হন ১১ রান করে। ৩৮ রানে ৩ উইকেট পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার। একপর ইনিংসের রাশ ধরেন স্টিভ স্মিথ ও গ্লেন ম্য়াক্সওয়েল। ৪২ রানের পার্টনারশিপ করে দলকে জয়ের লক্ষ্যে অনেকটাই এগিয়ে দেন দুই তারকা। কিন্তু তারপরই আউট হন অভিজ্ঞ স্টিভ স্মিথ। ৩৫ রান করে আউট হন তারকা ব্যাটসম্যান। এরপরই আক্রমণাত্মক শট মারতে গিয়ে আউট হন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ১৮ রান করে আউট হন ম্যাক্সি।
পরপর ২ উইকেট হারিয়ে চাপ বাড়তে থাকে অস্ট্রেলিয়ার উপর। সেই সময় অভিজ্ঞতার পরিচয় দিয়ে দলকে জয়েল লক্ষ্যে নিয়ে যান মার্কাস স্টয়নিস ও ম্য়াথু ওয়েড। শেষের দিকে বলের থেকে রান সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও, তাড়াহুড়ো করেননি দুই অজি তারকা। প্রয়োজন মত বাউন্ডারিও মারেন। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৮ রান। ২ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় অস্ট্রেলিয়া। ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৪ রান করে নট আউট থাকেন মার্কাস স্টয়নিস ও ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন ম্য়াথু ওয়েড। কষ্টার্জিত হলেও, জয় দিয়ে টি২০ বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করতে পারায় খুশি অ্যারন ফিঞ্চের দল।