গত মাসে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পর ছিলেন হোম আইসোলেশনে (Home Isolation)। অবশেষে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে কর্মজীবনে ফিরলেন ন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট (BCCI Presiden)।
করোনা ভাইরাসে (Coronaviruss)আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পর এতদিন বাড়িতেই ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায় ((Sourav Ganguly)। হোম আইসোলেশনের (Home Isolation) নিয়মের পাশাপাশি ও চিকিৎসকদের পরামর্শ মত পুরোপুরি দৈনন্দিন জীবনে ফেরেননি বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট (BCCI President)। বাডিতে বসেই ভার্চুয়াল মাধ্যনে সামলাচ্ছিলেন বিসিসিআইয়েক অতি প্রয়োজনীয় কাজকর্ম। মঙ্গলবার আইপিএল (IPL)গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকেও ভারচুয়াল মাধ্যমেই অংশগ্রহণ করেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট। তবে সৌরভ করোনা আক্রান্ত হয়ে কবে পুরোপুরি স্বাভাবিক কর্ম জীবনে ফিরবেন সেই প্রতীক্ষাতে ছিলেন সকলেই। সৌরভ অনুগামীরা প্রিয় 'দাদা'-র দ্রুত সম্পূ্ণ সুস্থতা কামনা করছিলেন। সৌরভের স্বাভাবিক জীবনে ফেরা প্রতীক্ষাতে ছিলেন টলি পাড়া থেকে বিভিন্ন নামী দামি কোম্পানিরাও। কারণ 'দাদাগির'-র (Dadagiri)সঞ্চলকের পাশাপাশি একাধিক কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরও প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক।
অবশেষে করোনা ভাইরাসের কবল থেকে পুরোপুরি মুক্তি পেয়ে বুধবার থেকে সম্পূ্র্ণ স্বাভাবিক জীবনে ফিরলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রায় দু’সপ্তাহ বাদে নিজের কর্মব্যস্ত জীবনে ফিরে এলেন দাদা। বুধবার বাড়ির বাইরে বেরোলেন সৌরভ।‘দাদাগিরি’র শ্যুটিং শুরু করলেন তিনি। সৌরভ আক্রান্ত হওয়ার পরে বেশ কয়েক দিন বন্ধ ছিল শ্যুটিং। বুধবার থেকে সেই কাজ আবার শুরু করলেন তিনি। চলছে 'দাদাগিরিট-র নবম সিজন। প্রসঙ্গত, সৌরভ করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর বেশ সমস্যাতেই পড়তে হয়েছিল ‘দাদাগিরি’র প্রযোজক-পরিচালকদের। দু'সপ্তাহ ধরে বন্ধ ছিল শুটিং। কিন্তু বেশ কিছু এপিসোড ব্যাঙ্কিং থাকায় খুব একটা সমস্যা হয়নি এই কদিন। কিন্তু চলতি সপ্তাহেই ব্যাঙ্কিং এপিসোড শেষ হয়ে যেত। কিন্তু তার আগেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ফের শুটিংয়ে যোগ দেওয়া স্বস্তি ফিরেছে।
প্রসঙ্গত, গত মাসের শেষের দিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি গয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়। জ্বর ও সর্দি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও, একদিন পর থেকেই সম্পূর্ণ সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক (Former Indian Captain)। সৌরভের অন্যান্য সব পরীক্ষার ফল স্বাভাবিক ছিল, শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ছিল ৯৯ শতাংশ। তবে ভর্তির পরই চিকিৎসার জন্য তিন সদস্যের চিকিৎসক দল গঠন করা হয়। সেই দলে ছিলেন সপ্তর্ষি বসু, সরোজ মণ্ডল ও সৌপ্তিক পাণ্ডা। এ ছাড়াও পরামর্শ নেওয়া হয় চিকিৎসক দেবী শেঠি ও আফতাব খানের। ভর্তি হওয়ার পর থেকেই সৌরভের শাীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল ছিল। তবে কোভিডের জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা অনুসরণ করা হয়। সৌরভকে মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ককটেল থেরাপি দেওয়া হয়। দেওয়া হয় ডক্সি সাইক্লিনও। দেওয়া হয় স্টিম। সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখেন চিকিৎসকরা। সৌরভ ছাড়া পেলে বাড়িতে একাধিক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েন। অবশেষে করোনা জয় করে সৌরভ কর্নজীবনে ফেরায় খুশি 'দাদা' ভক্তরা।