
অনূর্ধ্ব-১৯ কোচবিহার ট্রফিতে (Cooch Behar Trophy) অন্ধ্রকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল বাংলা দল (Bengal Team)। গোটা ম্যাচে অনবদ্য পারফর্ম করেছে বাংলার ছেলেরা। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলার দেওয়া ২৪৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৮৬ রানে শেষে হয়ে যায় অন্ধ্রের (Andhra) ইনিংস। ৫৭ রানে ম্য়াচ জেতে বাংলা। দ্বিতীয় ইনিংসে সিদ্ধার্থ সিং ৭ উইকেট নিয়ে বাংলার পথ প্রশস্ত করে সিদ্ধার্থ সিং। ম্য়াচে প্রথম ইনিংসে ৩১৬ রান করে বাংলা দল। অর্ধশতরান করেন অভিষেক পোড়েল, শশাঙ্ক সিং, রোহিত রাম,তৌফিক উদ্দিন। জবাবে প্রথম ইনিংসে ২৯৪ রান করে অন্ধ্রপ্রদেশ। সেঞ্চুরি করেন ভেঙ্কট রাহুল। অর্ধশতরান করেন কেএস রাজু, হেমন্ত রেড্ডি। প্রথম ইনিংসে বাংলার হয়ে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন তৌফিক উদ্দিন। ২২ রানের লিড পায় বাংলা। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলা ২২১ রান করে। লিড নিয়ে অন্ধ্রকে ২৪৪ রানের টার্গেট দেয় বাংলা। ১৮৬ রানে অলআউট হয় অন্ধ্র।
প্রতিযোগিতায় প্রথম থেকেই অনবদ্য ক্রিকেট খেলছে বাংলা অনূর্ধ্ব ১৯ দল (U19 Team)। শেষ ম্যাচে হায়দরাবাদকে হারিয়েই নকআউটে ওঠা নিশ্চিত করেছিলেন অভিষেকরা। কিন্তু তাঁরা সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে পারবেন কি না, তা নির্ধারনের জন্য এই ম্য়াচ থেকে অন্তত ৩ পয়েন্ট পেতে হত। কারণ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলেই মিলত সরাসরি শেষ আটের টিকিট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলকে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে হত। কিন্তু প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার জন্য ম্যাচ ড্র হলেও তিন পয়েন্ট পেলেই বাংলা চলে যেত কোয়ার্টার ফাইনালে। কিন্তু দুরন্ত ক্রিকেট খেলে যেভাবে বাংলা অন্ধ্রকে হারিয়েছে তা সত্যিই প্রশংশনীয়। এবার সেই পারফমেন্স ধরে রেখে কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমি ফাইনাল খেলে ফাইনালে ওঠা ও কোচবিহার ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হওয়াই লক্ষ্য বাংলা দলের।
গ্রুপ লিগের শেষ ম্য়াচে বাংলা দলের ব্যাটিং, বোলিং বিভাগে বেশ কয়েক জনের পারফরমেন্স উল্লেখ করার মত। যাদের জন্যই এই জয় সম্ভব হয়েছে। বাংলা দলের প্রথম ইনিংসে অভিষেক পোড়েল করেন ৭৬ রান, শশাঙ্ক সিং করেন ৭৩ রান, রোহিত রাম করেন ৫৪ রান, তৌফিক উদ্দিন করেন ৫২ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলার হয়ে ৯০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন অভিষেক পোড়েল। প্রথম ও দ্বিতীয় দুই ইনিংসেই বাংলার দুই ক্রিকেটার ৭টি করে উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে ৭টি উইকেট নেন তৌফিক উদ্দীন ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৭টি উইকেট নেন সিদ্ধার্থ সিং। দলের হয়ে পারফর্ম করতে পেরে খুশি ক্রিকেটাররা। ছেলেদের পারফরমেন্সে খুশি বাংলার অনূর্ধ্ব ১৯ দলের কোচও।