স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল বাংলা ক্রিকেট দলের। আরও একবার তীরে এসে ডুবল তরী। কাটাল না ৩০ বছরের রঞ্জি ট্রফির খরা। ফাইনালের পঞ্চম দিনেই প্রথম দেড় ঘণ্টাতেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল ২০১৯-২০ মরসুমে রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হতে চলেছে সৌরাষ্ট্র। কারণ পঞ্চম দিনের শুরুতেই ৩৮১ রানেই শেষ হয় যায় বাংলার ইনিংস। প্রথম ইনিংসে ৪৪ রানের লিড পায় সৌরাষ্ট্র দল। ফলে প্রথম ইনিংসের লিডের সৌজন্যে জয়দেব উনাদকাটের দলের ট্রফি জয় ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ১০৫ রান করে সৌরাষ্ট্র। খেলা ড্র ঘোষণা হতেই রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হল সৌরাষ্ট্র।
আরও পড়ুনঃ করোনার থাবা অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলে, আক্রান্ত পেস বোলার কেন রিচার্ডসন
করোনা আতঙ্কের আবহেই শুরু হয় রঞ্জি ফাইনালের শেষ দিনের খেলা। সংক্রমণ রুখতে কেন্দ্রের নির্দেশিকা অনুসারে দর্শকশূন্য গ্যালারিতে শুরু হয় ম্যাচ। চতুর্থ দিনের শেষে ৫৮ রানে অপরাজিত ছিলেন অনুষ্টুপ মজুমদার ও ২৮ রানে অপরাজিত ছিলেন অর্ণব নন্দী। বাংলার স্কোর ছিল ৩৫৪ রানে ৬ উইকেট। ৩০ বছরের খরা কাটাতে ও আরও একবার বাংলাকে ভারত সেরা করতে অনুষ্টুপ-অর্ণব জুটিই শেষ ভরসা ছিল বাংলার। কিন্তু দিনের শুরুতেই সৌরাষ্ট্র অধিনায়ক উনাদকাটের বলে ব্যক্তিগত ৬৩ রানে আউট হয়ে প্যাভেলিয়নে ফেরত যান অনুষ্টুপ। খাতা খুলতে পারেননি আকাশ দীপও। রান আউট হন তিনি। ধর্মেন্দ্র জাদেজার শিকার হন মুকেশ কুমার। অপরদিক থেকে লড়াই চালিয়ে যান অর্ণব নন্দী। কিন্তু উনাদকাটের বলে ঈশান পোড়েলের আউট হতেই স্বপ্নভঙ্গ হল বাংলার। ৩৮১ রানে শেষ হয় বাংলার প্রথম ইনিংস। ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন অর্ণব নন্দী।
আরও পড়ুনঃ আইপিএল ২০২০ আপাতত স্থগিত, করোনার থাবায় আক্রান্ত বিলিয়ন ডলার ক্রিকেট প্রতিযোগিতা
আরও পড়ুনঃ মহামারি করোনা ভাইরাস, আপাতত বন্ধ বিশ্বের একাধিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
চ্যাম্পিয়ন নির্ধারিত হয়ে গেলেও নিয়মমাফিক দ্বিতীয় ইনিংস ব্যাট করতে নামে সৌরাষ্ট্র। ম্যাচ ড্র ঘোষণা হওয়া পর্যন্ত ৪ উইকেট হারিয়ে উনাদকাটের দল করে ১০৫ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন অভি ব্যারট। বাংলার হয়ে দুটি উইকেট পান শাহবাজ আহমেদ, একটি করে উইকেট পান আকাশ দীপ ও সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। বাংলার প্রথম ইনিংস শেষ হতেই সেলিব্রেশন কিছুটা সেরে রেখেছিল সৌরাষ্ট্র দল। ম্যাচ ড্র ঘোষণা হতেই উৎসবে মাতে গোটা টিম। অপরদিকে গোটা মরসুম দুরন্ত খেলেও একরাশ হতাশা ও বেদনাই সঙ্গী রইল বাংলা দলের। তবে বাংলা দলের চলতি মরসুমের পারফরমেন্সের প্রশংসা করেছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।