কমেন্ট্রি বক্সে বসে ভারতীয় দলের প্রাক্তনরা বারবার বলছিলেন একটা কথা। সামি-উমেশ-ইশান্তদের বোলিং সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মনে করাচ্ছে। কথাটা যে একেবারে ভুল ছিল না সেটা মাঠেও প্রমাণ করলেন ভারতীয় পেসাররা। বাংলাদেশকে মাত্র ১০৬ রানে গুটিয়ে দিল ভারতীয় বোলিং। আর ১০টি উইকেটই এল ভারতীয় পেসারদের দখলে। ইশান্তের পাঁচ, উমেশের তিন, সামির ২। বাংলাদেশের ব্যাটিং টিকল মাত্র ৩০.৩ ওভারে। আর এই সময়ে মাত্র এক ওভার বল করলেন স্পিনার। একটি ওভার করেছিলেন জাদেজা। গোলাপি বলে বোলিং করা হল না অশ্বিনের।
আরও পড়ুন - চা বিরতির আগেই শেষ বাংলাদেশ, গোলাপি বিপ্লব ভারতীয় পেসারদের
আর এই বোলিং প্রতিপক্ষের মনে ভয় ধরিয়ে দেওয়ার মতই ছিল। ভারতীয় পেসাররা যে শুধু আগুনে বোলিং করলেন তা নয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই বিখ্যাত বোলিং লাইনআপের মতই একের পর এক বাউন্সারে প্রতিপক্ষকে নাজেহাল করে ছাড়লেন। লিটন দাস এমনই একটি বাউন্সারে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেন। কনকাসন নিয়মে তাঁর জায়গায় মাঠে নামতে হয়েছে মেহদি হাসানকে। ইডেন থেকে লিটনকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে স্ক্যান করা হয় তাঁর। কিন্তু তাতেও নিস্তার নেই। নইমও বাউন্সার খেলেন হেলমেটে। সামির আগুনে বোলিংয়ে তখন যেন ভয় পাচ্ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।
আরও পড়ুন - ইডেনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জমাটি আড্ডায় সচিন
ভারতীয় পেস বোলিংয়ের মতই প্রশংসা করার মত কিপিং করতে দেখা গেল ভারতীয় উইকেট কিপার ঋদ্ধিমান সাহাকে। গোলাপি বল থেকে কোনও ভাবেই নিজের ফোকাসে সরাননি পাপালি। নিজের ঘরের মাঠে অসমান্য কালেশন ঋদ্ধির। ইশান্তের বলে নিলেন দুরন্ত একটা ক্যাচও। যা দেখে কমেন্ট্রি বক্সে বসে নিজেরে আনন্দ চেপে রাখতে পারেননি প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। সবাই এককথায় মেনে নিচ্ছেন। এখন ক্রিকেট বিশ্বের এক নম্বর উইকেট কিপার ঋদ্ধিমান সাহা।
আরও পড়ুন - ইডেন বেল বাজালেন হাসিনা ও মমতা, মহরাজের ইডেনে বিশেষ অতিথি রানি