শারজায় চেন্নাই সুপার কিংস (Chennai Super Kings) বনাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (Sunrisers Hyderabad) ম্যাচ। টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন এমএস ধোনি (MS Dhoni)। ১৩৪ রানে শেষ হল কেন উইলিয়ামসনের (Kane Williamson) দলের ইনিংস। ২ বল বাকি থাকতেই ম্য়াচ জিতে নেয় চেন্নাই।
বিশাল ছক্কা মেরে ম্য়াচ শেষ করলেন সিএসকে (CSK) অধিনায়ক এমএস ধোনি (MS Dhoni)। শারজার স্টেডিয়ামের ছাদে গিয়ে পড়ল বল। দীর্ঘ দিন পর ধোনির ব্যাট থেকে দেখা গেল এত বড় ছয়। কিছুটা উস্কে দিল ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে ধোনির ছয় মেরে ম্য়াচ ফিনিশ করার স্মৃতি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের (Sunrisers Hyderabad) বিরুদ্ধে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল চেন্নাই সুপার কিংস (Chennai Super Kings)। ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১৩৪ রান করে কেন উইবলিয়ামসনের দল (Kane Williamson)। অরেঞ্জ আর্মির হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha)। সিএসকের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন জস হ্যাজেলউড। রান তাড়া করতে নেমে ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ও ফাফ ডুপ্লেসির অনবদ্য ইনিংস ও শেষে ধোনি-রায়ডুর ফিনিশিং টাচে ২ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় ৩ বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নরা।
এদিন শারজায় টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সিএসকে অধিনায়ক এমএস ধোনি। ব্য়াট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি অরেঞ্জ আর্মির। ইংল্যান্ডের জেসন রয় ২ ও কিউই তারকা সানরাইজার্স অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ১১ রান করে প্য়াভেলিয়নে ফেরত যায়। দলের দুই তারকা ব্যাটস্যামন আউট হওয়ায় চাপ বাড়ে ঋদ্ধিমান সাহার উপর। ওপেনে নামলেও একদিক থেকে উইকেটে সামলে ব্যাটিং করে যান। শরাজার স্লো টার্নার উইকেটে একাই লড়াই করতে থাকেন বাংলার ছেলে। এর মধ্যে প্রিয়ম গর্গও প্যাভেলিয়নে ফেরত যান। ব্যক্তিগত ৪৪ রান করে আউট হন ঋদ্ধিমান সাহা।
ঋদ্ধি আউট হওয়ার পর কতটা সম্মান জনক স্কোরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ করতে পারবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছিল সংশয়। কিন্তু শেষের দিকে ছোট হলেও গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসস খেলেন অভিষেক শর্মা, আবদুল সামাদ, রাশিদ খানরা। অভিষেক ও সামাদ করেন ১৮ রান। রাশিদ খান খেলেন ১৭ রানের ইনিংস। শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রানে পৌছায় সানরাইজার্সের ইনিংস। সিএসকের হয়ে হ্যাজেলউডের ৩ উইকেট ছাড়াও ২টি উইকেট নেন ডোয়েইন ব্রাভো ও একটি করে উইকেট নেন শার্দুল ঠাকুর ও রবীন্দ্র জাদেজা।
১৩৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করেন চেন্নাই সুপার কিংসের দুই ওপেনার ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ও ফাফ ডুপ্লেসি। উইকেট বাঁচিয়ে প্রয়োজনীয় রান রেট অনুযায়ী পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন গায়কোয়াড়-ডুপ্লেসি জুটি। নিজেদের মধ্যে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও করেন তারা। ওপেনিং জুটিতে ৭৫ রান তোলার পর প্রথম উইকেট পড়ে চেন্নাই সুপার কিংসের। ব্যক্তিগত ৪৫ রান করে আউট হন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। এরপর সেট মঈন আলি সেট হলেও ১৭ রানের ইনিংস খেলে রাশিদ খানের বলে বোল্ড হন। ব্য়াট হাতে নিরাশ করেন সুরেশ রায়নাও। ২ রানম করে জেসন হোল্ডারের শিকার হন তিনি।
শেষের দিকে শারজার স্লো উইকেটে ম্যাচ কিছুটা হাড্ডাহাড্ডি দিকে গেলেও অভিজ্ঞতার পরিচয় দিয়ে ম্য়াচ ফিনিশ করেন অম্বাতি রায়ডু ও এমএস ধোনি। ১৩ বলে ১৭ রান করে নট আউট থাকেন রায়ডু ও ১১ বলে ১৪ রান করেন এমএস ধোনি। এই ম্যাচ জয়ের ফলে ১১ ম্যাচে ৯ জয়ের সৌজন্যে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষ স্থান মজবুত করল সিএসকে। একইসঙ্গে প্রথম দল হিসেবে ২০২১ আইপিএলের প্লে অফে নিজেদের জায়গা পাকা করল এমএস ধোনির দল।