
রুদ্ধশ্বাস ম্য়াচ চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়ে আইপিএল ২০২২-এর পঞ্চম জয় তুলে নিল গুজরাট টাইটানস। ৩ উইকেটে ম্য়াচ জিতল রাশিদ খানের দল। ম্য়াচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন এই ম্য়াচে হার্দিক পান্ডিয়ার অনুপস্থিতিতে গুজরাট অধিনায়ক রাশিদ খান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান করে রবীন্দ্র জাদেজার দল। সিএসকের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। এছাড়া ৩১ বলে ৪৬ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন অম্বাতি রায়ডু। শেষের দিকে ১২ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলেন জাদেজা। রান তাড়া করতে নেমে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে অনবদ্য ব্য়াটিং করেন ডেভিড মিলার ও রাশিদ খান। ১ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষযে পৌছে যায় গুজরাট। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫১ বলে ৯৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন মিলার। এছাড়া ২১ বলে ৪০ রান করেন রাশিদ খান।
টস হেরে ব্য়াট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি চেন্নাই সুপার কিংসের। ৭ রানে প্রথম উইকেট পড়ে সিএকের। ৩ রান করে মহম্মদ শামির বলে আউট হন রবিন উথাপ্পা। এদিন প্রথম থেকেই ছন্দে পাওয়া যায় রুতুরাজ গায়কোয়াড়ককে। দ্বিতীয় উইকেটে মইন আলিকে সঙ্গে নিয়ে ২৫ রানের পার্টনারশিপ করেন রুতুরাজ। কিন্তু বেশি সময় ক্রিজে থাকতে পারেননি মইন আলি। দলের ৩২ রানের মাথায় ১ রান করে আলজারি জোসেফের বলে আউট হন মইন আলি। এরপর সিএসকের ইনিংসের রাশ ধরেন রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও অম্বাতি রায়ডু। এই মরসুমের নিজের প্রথম অর্ধশতরানও পূরণ করেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। দুজন মিলে মহামূল্যবান ৯২ রানের পার্টনারশিপ করেন । ১২৪ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে চেন্নাইয়ের। ৪৬ রান করে আলজারি জোসেফের দ্বিতীয় শিকার হন অম্বাতি রায়ডু। কিন্তু পার্টনারশিপ ভাঙার পর আর বেশি সময় ক্রিজে থাকতে পারেননি রুতুরাজ। দলের ১৩১ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে। যশ দয়ালের বলে ৭৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে আউট হন রুতুরাজ গায়কোয়ার। এরপর দলের স্কোর বোর্ড এগিয়ে নিয়ে যান শিবম দুবে ও রবীন্দ্র জাদেজা। বেশ কিছু আক্রমণাত্মক শট খেলেন দুজনে। শেষ ওভারের শেষ বলে রান আউট হন দুবে। ১৯ রান করেন তিনি। জাদেজা অপরাজিত থাকেন ২২ রান। করে। ৩৮ রানের পার্টনারশিপ করেন তারা। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৬৯ করে চেন্নাই।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা একেবারই ভালো হয়নি গুজরাট টাইটানসের। মিডল অর্ডারে হার্দিকের না থাকা প্রভাব পরিষ্কার বোঝা গিয়েছে। ১৬ রানের মধ্যে ৩ উইকেট পড়ে যায় গুজরাটের। খাতা না খুলেই প্যাভেলিয়নে ফেরত যান শুবমান গিল ও বিজয় শংকর। গিলের উইকেট নেন মুকেশ চৌধুরী ও শংকরকে আউট করেন মাহেশ থিকসানা। ১২ করে মাহেশ থিকসানার তৃতীয় শিকার হন অভিনব মনোহর। এরপর ইনিংসে রাশ কিছুটা ধরার চেষ্টা করেন ঋদ্ধিমান সাহা। কিন্তু তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৪৮ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে। ১১ রান করে রবীন্দ্র জাদেজার বলে আউট হন ঋদ্ধি। এরপর মিলার ও রাহুল তেওয়াটিয়া মিলে ৩৯ রানের পার্টনারশিপ করেন। ৮৮ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৬ রান করে ব্রাভের বলে আউট হন তেওয়াটিয়া। এরপর ইনিংসের রাশ ধরেন রাশিদ খান ও ডেভিড মিলার। দলকে ম্য়াচে ফেরায় এই জুটি। উইকেট বাঁচানোর পাশাপাশি একের পর এক আক্রণমাত্মক শট খেলে স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যান। নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন মিলার। শেষ ৩ ওভারে জয়ের জন্য দপকার ছিল ৪৮ রান। সেখান থেকে বিদ্বংসী ব্যাটিং করেন রাশিদ খান। ৭০ রানের পার্টনারশিপ করার পর ভাঙে জুটি। ১৫৭ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়ে গুজরাটের। ২১ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলে আউট হন রাশিদ খান। এরপর খাতা না খুলেই ব্রাভোর তৃতীয় শিকার হন আলজারি জোসেফ। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৩ রান। ১ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় গুজরাট। ৫১ বলে ৯৪ রানের অপরাজিত অনবদ্য ইনিংস খেলেন ডেভিড মিলার। এই জয়ের ফলে লিগ টেবিল শীর্ষ স্থান আরও মজবুত হল গুজরাট টাইটানসের।