পৃথ্বির বিধ্বংসী ইনিংসের পরও হল না বড় স্কোর, লখনউকে ১৫০ রানের টার্গেট দিল দিল্লি

আইপিএল ২০২২-এর ১৫ তম ম্য়াচে দিল্লি ক্যাপিটালস ও লখনউ সুপার জায়ান্টসের মধ্যে ব্য়াটে-বলে টানটান লড়াই প্রথম ২০ ওভারে। পৃথ্বি শ-য়ের ঝড়ো ইনিংসের পাশাপাশি রবি বিষ্ণোই ও কৃষ্ণাপ্পা গৌতমের স্পিনের ছোঁবল সব কিছুই উপভোগ করলেন ক্রিকেট প্রেমিরা। ম্য়াচে টস দিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক কেএল রাহুল। ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে  ৩ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান করে দিল্লি ক্যাপিটালস। রাজধানীর দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন পৃথ্বি শ। এছাড়া অধিনায়ক ঋষভ পন্থ করেন ৩৯ রান ও শরফরাজ খান করেন ৩৬ রান।  কেএল রাহুলের দলের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন লেগ স্পিনার রবি বিষ্ণোই ও একটি উইকেট নেন কৃষ্ণাপ্পা গৌতম।

এদিন দিল্লির হয়ে ব্যাট হাতে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে বিধ্বংসী মেজাজে শুরু করেছিলেন ওপেনার পৃথ্বি শ। অপরদিকে ডেভিড ওয়ার্নার থাকলেও তিনি কার্যত দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন। প্রথম ৭ ওভার ক্রিজে থাকলেও একাই রান করে গিয়েছে পৃথ্বি শ। একের পর এক বাইন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি মারেন তিনি। নিজেদের মধ্যে অর্ধশতরান করার পাশাপাশি নিজের অর্ধশতরানও দ্রুত গতিতে পূরণ করেন তিনি। কার্যত সব রান তার ব্য়াট থেকেই আসে। অষ্টম ওভারে দলের ৬৭ রানের মাথায় প্রথম উইকেট পড়ে দিল্লি ক্য়াপিটালসের। ৩৪ বলে ৬১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে কৃষ্ণাপ্পা গৌতমের বলে আউট হন তিনি। পার্টনারশিপ ভাঙতেই আউট হন ডেভিড ওয়ার্নারও। ৬৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে। ৪ রান করে রবি বিষ্ণোইয়ের বলে আউট হন তিনি। এরপর রভম্য়ান পাওয়েল ক্রিজে আসলেও তিনিও বেশি সময় দাঁড়াতে পারেনি। ৩ রান করে রবি বিষ্ণোইয়ের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। ৭৪ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে দিল্লির।

কম রানের ব্যবধানে পরপর তিনটি উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। সেই সময় দলের ইনিংসের রাশ ধরেন অধিনায়ক ঋষভ পন্থ এই ম্য়াচে সুযোগ পাওয়া শরফরাজ খান। প্রথমে একটু ধীর গতিতে ইনিংসের শুরু করেন তারা। উইকেট বাঁচিয়ে এগিয়ে নিয়ে যান দলের স্কোর বোর্ড। ১৫ ওভারের পর থেকে রানের গতিবেগ বাড়াবো শুরু করেন পন্থ ও শরফরাজ। একের পর এক আক্রমণাত্মক শট খেলতে শুরু করেন দুজনেই। নিজেদের মধ্যে অর্ধশতরানের পার্টমারশিপও পূরণ করে ফেলেন শরফরাজ খান ও ঋষভ পন্থ জুটি। কিন্তু শেষে তিন ওভারে ফের আটোসাটো বোলিং করেন লখনউয়ের বোলাররা। শেষের দিকে পন্থ ও শরফরাজকে খুব একটা হাত খোলার সুযোগ দেননি আভেস খান, জেসন হোল্ডাররা। শেষ পর্যন্ত ১৪৯ রানেই থামতে হয় দিল্লি ক্যাপিটালসকে।ম্য়াচ জয়ের জন্য লখনউ সুপার জায়ান্টসের টার্গেট ১৫০ রান।