
স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্যপূর্তিতে মাততে প্রস্তুত গোটা দেশ। ১৩০ কোটির দেশের কোণায় কোণায় চলছে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি। আগাম উৎসবও শুরু হয়ে গিয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে বছরভর পালিত হচ্ছে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব। সেই সঙ্গে নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 'হর ঘর তেরঙ্গা' কর্মসূচিতে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে দেশের প্রতিটি ঘরে জাতীয় পতাকা লাগানোর কথা বলেছেন মোদী। দেশবাসীকে নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইলের ডিপি বদলে দেশের পতাকা রাখার কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদীর সেই আহ্বানে সাড়া দিলেন এমএস ধোনি। স্বাধীনতা দিবসের আগে নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলের ডিপি বদলে জাতীয় পতাকা রাখলেন প্রাক্তন বিশ্বজয়ী ভারত অধিনায়ক।
সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব একটা কোনও দিনই সক্রিয় নন এমএস ধোনি। ইনস্টা থেকে ট্যুইটাপ, ফেসবুক প্রফাইল থাকলেও পোস্ট করতে একেবারেই দেখা যায় না তাকে। তার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে শেষ পোস্ট হয়েছিল ২০ মাস আগে। তারপরও ধোনিকে ইনস্টাগ্রামে তিন কোটি ৯০ লক্ষের বেশি মানুষ ফলো করেন। তবে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে যোগ দিয়ে তিনিও বদলে ফেললেন ডিপি। তাঁর ডিপিতে কালো ব্যাকগ্রাউন্ডের উপর ফুটে উঠেছে তেরঙ্গা। নিচে ইংরাজি, হিন্দি ও সংস্কৃত ভাষায় লেখা, “সৌভাগ্যবান যে আমি ভারতীয়।” এম এস ধোনি নিজের ইনস্টা ডিপি বদলেছেন তাও আবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে। এই খবর নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় লাগেনি। স্বাধীনতা দিবসের আগে ধোনির দেশভক্তি আরও একবার সকলের মন জয় করে নেয়।
এর আগেও ধোনির একাধিকবার নিজের দেশভক্তির পরিচয় দিয়েছেন। দেশের হয়ে খেলাকে অগ্রাধিকার দিয়ে মেয়ে জিভার জন্মের সময়ও স্ত্রীর পাশে থাকেননি এমএস ধোনি। সেনাবাহিনীর প্রতি ধোনির ভালোবাসা কথা আমাদের সকলেরই জানা। ভারতীয় সেনার টেরিটোরিয়াল আর্মিলে ফটেন্যান্ট কর্নেলের সাম্মানিক পদ দেওয়া হয়েছে ধোনিকে। সীমান্তে গিয়ে নিয়েছেন প্রশিক্ষণও। সুযোগ পেলেই সেনা বাহিনীর সঙ্গে সময় কাটাতে দুর্গম জায়গাতেও গিয়েছেন এমএস ধোনি। সেনার উর্দিতেই রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পদ্মভূষণ সম্মান গ্রহণ করেছিলেন। ক্রিকেট মাঠেও ধোনির জার্সি থেকে গ্লাভস সব জায়গায় ভারতীয় সেনার ছাপ বারবার লক্ষ্য করা গিয়েছে। সেই এম এস ধোনি দেশের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসে কিছু করবেন না তা আবার হয় নাকি।
আরও পড়ুনঃভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের পথ প্রদর্শক, আগামি প্রজন্মের অনুপ্রেরণা 'লেডি সচিন' মিতালি রাজ