
ক্রমশ চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) তৃতীয় ঢেউ ও তার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন (Omicron)। দেশ তথা রাজ্য জুড়ে ক্রমশই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্য়া। বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও এবারও অন্যান্যবারের থেকে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রথম দুটি ঢেউয়ের মত তৃতীয় ঢেউতেও ক্রীড়া ক্ষেত্রে যথেষ্ট তার প্রভাব পড়েছে। আক্রান্ত হচ্ছেন একের পর এক ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরা। এবার বিশ্ব অতিমারী ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন বাংলা দলের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও বর্তমানে বাংলার অনূর্ধ্ব ২৩ দলের কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা (Laxmi Ratan Shukla)। যেই খবর সামনে আসার পরই ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য। আপাতত নিজের ফ্ল্যাটেই হোম আইসোলেশনে (Home Isolation) রয়েছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলার পর মেনে চলছেন সকল পরামর্শ।
এই প্রথম নয়, এর আগেও লক্ষ্মীরতন শুক্লার পরিবারের থাবা বসিয়েছিল করোনা ভাইরাস। ২০২০ সালে প্রথম ঢেউয়ের সময় আক্রান্ত হয়েছিলেন তৎকালীন মন্ত্রীর স্ত্রী ও ছেলে। কিন্তু সেবার মারণ ভাইরাস জায়গা করতে পারেনি প্রাক্তন ক্রিকেটারের শরীরে। কিন্তু ২০২২-এ শেষ পর্যন্ত ভাইরাসের প্রকোপ থেকে বাঁচতে পারলেননা লক্ষ্মীরতন শুক্লা। জানা গিয়েছে, ক’দিন ধরেই তাঁর জ্বর ছিল। তাই করোনা পরীক্ষা করান। সোমবার দুপুরে লক্ষ্মীরতন শুক্লার নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। রাতে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তার পর থেকে নিজের আবাসনের একটি আলাদা ফ্ল্যাটে নিভৃতবাসে রয়েছেন বাংলার অনূর্ধ্ব ২৩ দলের কোচ। হাল্কা জ্বর ও সর্দি রয়েছে লক্ষ্মীর।তবে শারীরিক খুব একটা অসুবিধা নেই বলেই জানা গিয়েছে। নিজের যাবতীয় কাজ পিছিয়ে দিয়েছেন তিনি।
বাংলা ক্রিকেটে বিগত কয়েক দিনে করোনার থাবা ক্রমশ চওড়া হচ্ছে। কিছু দিন আগেই করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বর্তমানে হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পর বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন তিনি। এঁদের মধ্যে সুদীপ চট্টোপাধ্যায়, অনুষ্টুপ মজুমদার, গীত পুরি, কাজি জুনেইদ সইফিরা যেমন রয়েছেন, তেমনই করোনা আক্রান্ত সহকারী কোচ সৌরাশিস লাহিড়ীও। তবে কারও শরীরে কোনও উপসর্গ নেই। লক্ষ্মীরতন শুক্লার পাশাপাশি কোভিড পজিটিভ সিএবি (CAB) প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়াও। তিনিও আইসোলেশনে রয়েছেন। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের কারনে সিএবি সমস্ত খেলা আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবার আক্রান্ত হলেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। ফলে যেভাবে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা তাতে কপালে চিন্তার ভাঁজ ক্রমশ চওড়া হচ্ছে।