আইপিএল ২০২১-এর (IPL 2021) দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে দিল্লি ক্যাপিটালসকে (Delhi Capitals) হারিয়ে ফাইনালে পৌছল কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders)। ম্য়াচে প্রথমে ব্যাট করে ১৩৫ রান করে ঋষভ পন্থের (Rishabh Pant)দল। জবাবে ১ বল বাকি থাকতে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জেতে ইয়ন মর্গ্যানের (Eoin Morgan)দল।
রুদ্ধশ্বাস শেষ ওভার থ্রিলারে দিল্লি ক্যাপিটালসকে (Delhi Capitals)৩ উইকেটে হারিয়ে আইপিএল ২০২১-এর (IPL 2021) ফাইনালে পৌছল কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders)। প্রথম দুরন্ত বোলিং করেন কেকেআর (KKR)বোলাররা। ১৩৫ রানে আটকে রাখে ঋষভ পন্থের (Rishabh Pant)দলকে। জবাবে ১ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেটে ম্য়াচ জিতল ইয়ন মর্গ্যানের (Eoin Morgan)দল। এক ঝলকে দেখে নিন গোটা ম্যাচের হাইলাইটস।
শিখর ধওয়ান ও শ্রেয়স আইয়রের লড়াকু ব্যাটিং-
শারজার স্লো উইকেটে যেখানে অনবদ্য বোলিং করছিলেন কেকেআরের স্পিন ত্রয়ী। সেখানে দাতে দাত চেপে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের শিখর ধওয়ান ও শ্রেয়স আইয়র। স্লো হলেও তাদের লড়াকু ইনিংসের সৌজন্যেই ১৩৫ রানের স্কোরে পৌছায় দিল্লি। ৩৬ রান করেন শিখর ধওয়ান। একটি চার ও ২টি ছয়ে সাজানো তার ইনিংস। ৩০ রান করেন শ্রেয়স আইয়র। একটি চার ও একটি ছয়ে সাজানো তার ইনিংসষ শেষ ওভারে শিবম মাভিকে এক ওভারে ১৫ রান নেন শ্রেয়স।
কেকেআর স্পিনারদের অনবদ্য বোলিং-
এদিনও শারজার উইকেটে অনবদ্য বোলিং করেন কেকেআরের ৩ স্পিনার সুনীল নারিন, শাকিব আল হাসান ও বরুণ চক্রবর্তী। কেকেআর স্পিনারদের মধ্যে এদিন ৪ ওভারে ২৬ রান ২ উইকেট নেন বরুণ চক্রবর্তী। শাকিব ও নারিন উইকেট না পেলেও দিল্লির ব্যাটসম্যানদের সহজে হাত খুলতে দেননি। সাকিব দেন ৪ ওভারে ২৮ রান ও নারিন দেন ৪ ওভারে ২৭ রান।
নজরকাড়া পারফরমেন্স লকি ও মাভির-
স্পিনারদের পাশাপাশি ভালো বোলিং করেন কেকেআরের দুই পেসার লকি ফার্গুসন ও শিবম মাভি। ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন লকি ফার্গুসন। শিবম মাভি ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। স্পিনার ও পেসারদের দলগত পারফরমেন্সেই দিল্লিকে ১৩৫ রানে আটকে রাখে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
ভেঙ্কটেশ আইয়রের ঝোড়ো ইনিংস-
১৩৫ রান তাড়া করতে নেমে অনবদ্য ব্য়াটিং করেন কেকেআরের ওপেনার ভেঙ্কটেশ আইয়র। তার ও শুভমান গিলের ওপেনিং জুটিতে ৯৬ রানের পার্টনারশিপও দলের জয়ের ভিত তৈরি করে দেয়। শেষ পর্যন্ত ৪১ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন ভেঙ্কটেশ আইয়র। ৪টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজানো তার অনবদ্য ইনিংস।
শুবমান গিলের সাবধানী ব্য়াটিং-
একদিকে থেকে ওপেনিং জুটিতে যেখানে মারমুখী ছিলেন আইয়র। সেখানে উইকেট বাঁচিয়ে ক্রিজে দাঁড়িয়ে থেকে সাবধানী ব্য়াটিং করেন শুবমান গিল। দলকে একেবারে জয়ের গোরগোড়ায় নিয়ে গিয়ে আউট হন তিনি। কিন্তু তিনি আউট হতেই ধস নামে কেকেআরের ব্যাটিং লাইনআপে। যদিও ম্য়াচ হাতছাড়া হয়নি। ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন গিল।
কেকেআর ব্যাটিং লাইনে ধস-
কেকেআরের স্কোর যখন ১২৩ , জয়ের জন্য দরকার মাত্র ১৩ রান। সেই সময় থেকেই তাসের ঘরের মত ভাঙতে থাকে নাইটদের ব্যাটিং লাইনআপ। রানা আউট হন ১৩ রান করে,শুবমান গিল আউট ৪৬ রান করে। এরপর কেকেআরের ৪ ব্যাটস্যান মর্গ্যান, কার্তিক, শাকিব ও নারিন শূন্য রান করে আউট হন।
দিল্লির বোলারদের প্রাণপণ লড়াই-
মাত্র ১৩৫ রানের পুঁজি নিয়ে লড়াই করতে নেমে যেখানে এক সময় ১২৩ রানে ১ উইকেট ছিল, সেখান থেকে দুরন্তাভাবে ম্য়াচে ফেরে দিল্লি। অনবদ্য বোলিং করেন নকিয়া, রাবাডা, আবেশ খান, অশ্বিনরা। ২টি করে উইকেট নেন রাবাডা, অশ্বিন ও নকিয়া। একটি উইকেট নেন আবেশ খান।
রাহুল ত্রিপাঠীর ছয়ে ফাইনালে কেকেআর-
একদিকে লাগাতার আউট ও বল মিসের ফলে যেখানে ৩ ওভারে কলকাতার জয়ের জন্য দরকার ছিল ১১ রান সেখানে শেষ ২ বলে ৬ বাকি ছিল কেকেআরের। রাহুল ত্রিপাঠি ছয় মেরে কেকেআরে ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন পূরণ করেন। ১৫ অক্টোবর ধোনির সিএসকের মুখোমুখি কেকেআর।