রাহুল ত্রিপাঠীর ছক্কা দ্বিগুণ করল অষ্টমীর আনন্দ, রুদ্ধশ্বাস ম্য়াচে দিল্লিকে হারিয়ে ফাইনালে কেকেআর

আইপিএল ২০২১-এর (IPL 2021) দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে দিল্লি ক্যাপিটালসকে (Delhi Capitals) হারিয়ে ফাইনালে পৌছল কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders)। ম্য়াচে প্রথমে ব্যাট করে ১৩৫ রান করে ঋষভ পন্থের (Rishabh Pant)দল। জবাবে  ১ বল বাকি থাকতে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জেতে ইয়ন মর্গ্যানের (Eoin Morgan)দল।
 

Asianet News Bangla | Published : Oct 13, 2021 6:06 PM IST / Updated: Oct 14 2021, 01:02 AM IST

অষ্টমীর আনন্দ মুহূর্তে হচ্ছিল মাটি। জেতা ম্যাচ হয়ে যাচ্ছিল হাতছাড়া। শেষে দিকে ১৩ রান করতে গিয়ে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল কেকেআর। শারজার টেনশনে মুখে হাসি উড়ে গিয়েছিল কলকাতা তথা বঙ্গবাসীর। ২ বলে বাকি ছিল ৬ রান। সেই সময় রাহুল ত্রিপাঠীর ব্যাট থেকে এল মহাষ্টমীর সেরা উপহারটা। অশ্বিনের বল স্টেডিয়ামে পাঠাতেই তৃতীয়বারের জন্য আইপিএল ফাইনালে জায়গা পাকা করে ফেলল কলকাতা নাইট রাইডার্স। শারজার স্লো উইকেটে এদিন প্রথমে ব্য়াট করে ১৩৫ রান করে দিল্লি ক্যাপিটালস। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করে কেকেআর। অনবদ্য ইনিংস খেলেন ভেঙ্কটেশ আইয়র ও শুমান গিল। শেষে উইকেট হারিয়ে চাপ বাড়লেও, জয়ের হাসি হাসলব কলকাতাই। 

এদিন টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন কেকেআর অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান। শিখর ধওয়ানের সঙ্গে ওপেনে নেমে ঝোড়ো শুরু করলেও বেশিক্ষণ শুরু দাঁড়াতে পারেননি পৃথ্বি শ। ১২ বলে ১৮ রান করে আউট হন তিনি। বরুণ চক্রবর্তীর শিকার হন তিনি। এরপর ধীর গতিতে হলেও ৩৯ রানের পার্টনারশিপ গড়েন মার্কাস স্টয়নিস ও শিখর ধওয়ান। কিন্তু কেকেআর বোলারদের আঁটোসাঁটো বোলিংয়ের কারণে হাত খুলতে পারেনি দিল্লির ব্যাটসম্যানরা। দলের ৭২ রানের মাথায় ১৮ রান করে আউট হন মার্কাস স্টয়নিস। শিবম মাভির বলে বোল্ড হন তিনি। এরপর বেশিক্ষণ দাঁড়াতে ধওয়ানও। ৮৩ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে দিল্লির। ৩৬ রান করে বরুণ চক্রবর্তীর বলে আউট হন তিনি।

একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপ বাড়তে থাকে দিল্লির ব্যাটিং লাইনআপে। অধিনায়ক ঋষভ পন্থও এদিন ব্য়াট হাতে ব্যর্থ হন। মাত্র ৬ রান করে ফার্গুসনের বলে আউট হন তিনি। একদিক থেকে উইকেট বাঁচিয়ে ক্রিজে দাঁড়িয়ে থাকেন শ্রেয়স আইয়র। নো বলে একবার জীবনদান পেয়ে শেষে দিকে ১০ বলে ১৭ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন শিমরন হেটমায়ার। রান আউট হন তিনি। শেষ ওভারে গিয়ে শিবম মাভিকে আক্রমণ করেন শ্রেয়স আইয়র। ১৫ রান নেন তিনি। ১৩৫ রানে পোছায় দিল্লি। কেকেআরের জয়ের টার্গেট ছিল  ১৩৬ রান।

রান তাড়া করতে নেমে এদিন দুরন্ত শুরু করে কেকেআরে দুই ওপেনার শুবমান গিল ও ভেঙ্কটেশ আইয়র। প্রথম থেকেই উইকেট বাঁচিয়ে সঠিক শট নির্বাচন করে ধীরে ধীরে আক্রমণে যায় কেকেআর ওপেনরা। ওবার পিছু ৮  রান গড়ে চলতে থাকে কলকাতা স্কোর বোর্ড। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই পূরণ করে নেন শুবমান গিল ও ভেঙ্কটেশ আইয়র। নিজের অর্ধশতরানাও পূরণ করে ফেলেন আইয়র। ৯৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ার পর আউট হন ভেঙ্কটেশ আইয়র। রাবাডার বলে ৪১ বলে ৫৫ রান করে আউট হন তিনি। 

এরপর নীতিশ রানা ও শুবমান গিল২৭ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে যান। কেকেআরের স্কোর যখন ১২৩ , জয়ের জন্য দরকার মাত্র ১৩ রান। সেই সময় থেকেই তাসের ঘরের মত ভাঙতে থাকে নাইটদের ব্যাটিং লাইনআপ। রানা আউট হন ১৩ রান করে,শুবমান গিল আউট ৪৬ রান করে। এরপর কেকেআরের ৪ ব্যাটস্যান মর্গ্যান, কার্তিক, শাকিব ও নারিন শূন্য রান করে আউট হন। একদিকে লাগাতার আউট ও বল মিসের ফলে যেখানে ৩ ওভারে কলকাতার জয়ের জন্য দরকার ছিল ১১ রান সেখানে শেষ ২ বলে ৬ বাকি ছিল কেকেআরের। রাহুল ত্রিপাঠি ছয় মেরে কেকেআরের ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন পূরণ করেন। ১৫ অক্টোবর ধোনির সিএসকের মুখোমুখি কেকেআর।


Share this article
click me!