আইপিএল ২০২১-এর (IPL 2021) দ্বিতীয় প্লে অফে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোরকে (Royal Challengers Bangalore) ৪ উইকেটে হারাল কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders)। ম্য়াচে প্রথমে ব্য়াট করে ১৩৮ রান করে বিরাট কোহলির (Virat Kohli) আরসিবি (RCB)। জবাব ৪ উইকেটে জয় পেল ইয়ন মর্গ্য়ানের (Eoin Morgan) কেকেআর (KKR)। ব্যাটে-বলে অনবদ্য পারফর্ম করে ম্যান অব দ্য ম্য়াচ সুনীল নারিন (Sunil Narine)।
আইপিএল ২০২১-এর (IPL 2021) দ্বিতীয় প্লে অফে বিরাট কোহলির (Virat Kohli)রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে (Royal Challengers Bangalore) ৪ উইকেটে হারাল ইয়ন মর্গ্যানের (Eoin Morgan) কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders)। ম্য়াচে প্রথমে ব্যাট করে ১৩৮ রান করে আরসিবি (RCB)। জবাবে ২ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় কেকেআর (KKR)। এই ম্য়াচ হারের ফলে আইপিএল ২০২১ থেকে ছিটকে গেলে আরসিবি। অপরদিকে তৃতীয় প্লে দিল্লির মুখোমুখি হবে কেকেআর। এক ঝলকে দেখে নিন আজকের ম্য়াচ হাইলাইটস।
বিরাট কোহলি ছাড়া ব্যর্থ সকলেই-
কেকেআরের বিরুদ্ধে টসে জিতে শুরুটা ভালোই করেছিল আরসিবি। ওপেনিং জুটিতে হয়েছিল ৪৯ রানের পার্টনারশিপ। একদিক থেকে দীর্ঘক্ষণ ধরে ছিলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। কিন্তু এদিন দেবদূত পাড়িকল ২১ রান করে কিছুটা লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করলেও অন্য়ান্যরা ব্যর্থ হন। আরসিবির হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। ৫টি চারে সাজানো তার ইনিংস। ৩৯ রান করার পর সুনীল নারিনের বলে ব্লোড আউট হন আরসিবি অধিনায়ক।
সুনীল নারিনের অনবদ্য বোলিং-
এদিন কেকেআরের হয়ে অনবদ্য বোলিং করেন সুনীল নারিন। আরসিবির ব্যাটিং লাইনআপে কার্যত একাই ধস নামিয়ে দেন ক্যারেবিয়ান স্পিনার। বিরাট কোহলির দলের প্রধান ৪ ব্যাটসম্যানকেই নিজের স্পিনের জালে ফাঁসান নারিন। বিরাট কোহলি, এসকে ভরত, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও এবি ডিভিলিয়ার্সকে আউট করেন তিনি। ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন সুনীল নারিন।
লকি ফার্গুসনের পেসের ধাক্কা-
সুনীল নারিন ছাড়াও এদিন কেকেআরের হয়ে ভালো বোলিং করেন কিউই পেসার লকি ফার্গুসন। ওপেনিং জুটিতে আরসিবি যখন বিধ্বংসী ব্য়াটিং করছিল। ৪৯ রানের পার্টনারশিপ করে ফেলেছিল বিরাট কোহলি ও দেবদূত পাড়িকল। তখনই আরসিবিকে প্রথম ধাক্কা দেন লকি ফার্গুসন। দেবদূত পাড়িকলকে বোল্ড করেন তিনি। পরের দিকে শাহবাজ আহমেদের উইকেট নেন তিনি। শেষে ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তিনি।
গিল, আইয়র, রানাদের দলগত ইনিংস-
শারজার মন্থর গতির পিচে ১৩৮ রান তাড়া করা যে খুব একটা সহজ হবে না তা জানা কথা ছিল। তবে কেকেআরের ব্য়াটসম্যানরা কেউ বড় রান না করলেও দলগতভাবে ব্য়াটিং করে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায়। ওপেনিংয়ে ২৯ রানে ঝোড়ো ইনিংস খেলেন শুবমান গিল। সঙ্গে ২৬ রানের সাবধানী ইনিংস খেলেন ভেঙ্কটেশ আইয়র। নীতিশ রানাও ২৩ রানের ইনিংস খেলে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন।
নারিনের বিধ্বংসী ব্য়াটিং-
একসময় যখন ৭৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপ বাড়ছিল কেকেআরের ব্য়াটিং লাইনআপে, সেই সময় নারিন নামিয়ে চমক দেন নাইট অধিনায়ক। কাজ করে যায় সেই চাল। লকি ফার্গুসনকে এক ওভারে তিনটি ছয় মেরে ম্য়াচের মোড় অনেকটাই ঘুড়িয়ে দেন নারিন। ৩১ রানের কার্যকরী পার্টনারশিপ করেন নারিন ও রানা। ১৫ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিৎ করে দেন নারিন।
অধিনায়ক হিসেবে আইপিএল ট্রফি অধরা বিরাটের-
আগেই আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলি জানিয়ে দিয়েছিলেন অধিনায়ক হিসেবে এটাই তার শেষ আইপিএল। এরপর আরসিবির হয়ে খেললেও অধিনায়কত্ব করবেন না তিনি। কেকেআরের বিরুদ্ধে হারের ফলে যেমন একদিকে আরসিবির প্রথমবার আইপিএল জয়ের স্বপ্ন আরও একবারল ভঙ্গ হল, তেমন অধিনায়ক বিরাট কোহলির হাতে আইপিএল ট্রফি ওঠার সম্ভাবনা আর রইল না।
এবার কেকেআরের সামনে দিল্লি-
এই ম্য়াচ জয়ের ফলে আগামি ১৩ অক্টোবর দিল্লি ক্যাপিটালসের মুখোমুখি হবে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ওই ম্যাচে যেই দল জিতবে তারা ১৫ অক্টোবর মেগা ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংসের মুখোমুখি হবে। এই জয়ের ফলে আত্মবিশ্বাসী কেকেআর। এখন তাদের পাখির চোখ তৃতীয়বার ট্রফি জয়।