ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার (Ind vs SA) প্রথম টি২০ (T20) ম্যাচ। ৭ উইকেটে জয় পেয়েছে প্রোটিয়া বাহিনি। ম্য়াচে ভারতীয় দলের হয়ে ক্যামব্যাক করেন হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya)। দুরন্ত ইনিংস খেলে প্রশংসিত হওয়ার পাশাপাশি বিতর্কেও জানালেন হার্দিক।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে প্রথম টি২০ ম্য়াচে হারের মুখ দেখতে হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে। প্রথমে ব্য়াট করে ২১১ রান করলেও ৫ বল বাকি থাকতেই ডেভিড মিলার ও রাসি ভ্য়ান ডার ডুসেনের বিধ্বংসী ইনিংসের সৌজন্যে ৭ উইকেটে জয় পায় প্রোটিয়ারা। এই ম্যাচে গত বছর টি২০ বিশ্বকাপের পর ফের ভারতীয় দলের জার্সিতে ফেরেন হার্দিক পান্ডিয়া। জাতীয় দলে ফিরেই ব্যাট হাতে নিজের ছাপ রাখেন তারকা অলরাউন্ডার। ফিনিশার হিসেবে নেমে ১২ বলে ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। ৩টি ছয় ২টি চারে সাজান তার ইনিংস। স্লগ ওভারে হার্দিকের ব্য়াটিংয়ের প্রশংসা করেন সকলেই। ২১১ রানে পৌছায় ভাতীয় দল। যদিও বোলারদের ব্যর্থতার কারণে ম্য়াচ হারতে হয় টিম ইন্ডিয়াকে।
জাতীয় দলে ফিরেই তার ইনিংসের জন্য যেমন প্রশংসিত হয়েছেন হার্দিক তেমন সমালোচনাও পিছুও ছাড়েনি তার। বিতর্ক ও হার্দিত পান্ডিয়া যে একে অপরের পরিপূরক তা দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামেও দেখা যায়। কারণ শেষে ওভারে ক্রিজে ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া ও দীনেশ কার্তিক। পঞ্চম বলে স্ট্রাইকে ছিলেন হার্দিক। সেই বল বাউন্ডারি লাইনে গেলেও শট রান না নিয়ে স্ট্রাইক নিজের কাছে রাখেন হার্দিক। অথচ উল্টো দিকে ছিলেন দীনেশ কার্তিকের মতো ব্যাটার, যিনি সুযোগ পেলে হয়তো শেষ বলে চার-ছয় মেরে দলের রান আরও বাড়িয়ে দিতে পারতেন। আইপিএলে ব্য়াট হাতে বিধ্বংসী ফর্মে ছিলেন ডিকে। সুপার স্ট্রাইকারের অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছিলেন। কিন্তু শেষে বলে হার্দিক নিজেও করেন ২ রান। সাধারণত অপরদিকে কোনও টেলেন্ডার থাকলে এমন করে ব্য়াটসম্যানরা। কিন্তু দীনশ কার্তিক থাকা সন্ত্বেও কেন এমন করলেন হার্দিক তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নেটিজেনরা। সমালোচনার শিকার হন হার্দিক পান্ডিয়া।
আরও পড়ুনঃলক্ষ্য রঞ্জি জয়, ঝাড়খণ্ডকে দুরমুশ করে প্রতিযোগিতার সেমি ফাইনালে বাংলা
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টি২০ ম্য়াচে হারতে হয়েছে ঋষভ পন্থের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলকে। ম্য়াচে প্রথমে ব্য়াট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে হারিয়ে ২১১ রান করে ভারতীয় দল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন ইশান কিশান। এছাড়া ৩৬ রান করেন শ্রেয়স আইয়র, ৩১ রান করেন হার্দিক পান্ডিয়া, ২৯ রান করেন ঋষভ পন্থ, ২৩ রান করেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। রান তাড়া করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯ ওভার ১ বলে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেন রাসি ভ্যান ডার ডুসেন ও ৬৪ রান করেন ডেভিড মিলার। তাদের ১৩১ রানের পার্টনারশিপের সৌজন্য়ে সহজ জয় পায় প্রোটিয়ারা। সিরিজের দ্বিতীয় ম্য়াচ ১২ জুন কটকে।