প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় টি টোয়েন্টিতেও কিউয়িদের পর্যুদস্ত করে সিরিজে ২-০ এগিয়ে গেল ভারত। আগের দিন যদি ভারতের জয়ের পিছনে থাকে দুরন্ত ব্যাটিং, তাহলে এ দিন কোহলিদের জেতাল বুমরা-শামি-জাডেজাদের আঁটোসাঁটো বোলিং।
এ দিনও টসে জিতে প্রথমে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠান কোহলি। শুরুটা অবশ্য ভালই করেছিলেন দুই ওপেনার গাপ্টিল এবং মুনরো। কিন্তু তাঁরা ফিরতেই কেন উইলিয়ামসন, রস টেলরদের চেপে ধরেন বুমরা, শামিরা। উইকেট না পেলেও এ দিন শামির গতি সামলাতে কার্যত হিমসিম খান নিউজিল্যান্ড-এর ব্যাটসম্যানরা। অন্যদিকে বুমরাও আঁটোসাঁটো বোলিং করতে থাকেন। মাঝের ওভারগুলিতে উইলিয়ামসন এহং গ্র্যান্ডহোমকে দ্রুত ফিরিয়ে নিউজিল্যান্ড-এর মিডল অর্ডারকে ধাক্কা দেন রবীন্দ্র জাদেজা। যার ফলে নির্ধারিত কুড়ি ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রানের বেশি তুলতে পারেনি কিউইরা।
রান তাড়া করতে নেমে এ দিনও দ্রুত ফিরে যান রোহতি শর্মা। ব্যক্তিগত ১১ রানের মাথায় বিরাট ফিরে যেতে কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। কিন্তু কে এল রাহুলের সঙ্গে জুটি বেঁধে নিউজিল্যান্ড বোলিংকে পাল্টা আক্রমণ করেন আগের ম্যাচের নায়ক শ্রেয়স আইয়ার। ধাওয়ান খেলতে না পারলেও এই সিরিজে তাঁর অভাব বুঝতে দিচ্ছেন না কে এল রাহুল। অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতা দেখিয়ে প্রায় প্রতি ম্যাচেই বড় রান আসছে তাঁর ব্যাট থেকে। এ দিনও ৫০ বলে ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৩৩ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন শ্রেয়স আইয়ারও। ১৭.৩ ওভারেই মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত। ঘরের মাঠে আপাতত সিরিজ বাঁচানোই চ্যালেঞ্জ কিউইদের কাছে। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ এগিয়ে গেল ভারত।