ব্যাট হাতে রানের খরা অব্যাহত বিরাট কোহলির (Virat Kohli)। সমালোচনার বাণে বিদ্ধ প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক (Former Indian captain) । এবার কোহলির পাশে দাঁড়ালেন বাবর আজম (Babar Azam)।
খারাপ সময় যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না বিরাট কোহলির। এমনিতেই তার ঘন ঘন বিশ্রান নেওয়া নিয়ে উঠছে প্রশ্ন, তার মধ্যে ইংল্যান্ডে এসেও টেস্ট, টি২০ থেকে ওডিআই বিরাট কোহলির ব্যাটে রানের খরা অব্যাহত। কবে ফর্মে ফিরবেন বিরাট এটা সত্যিই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে কপিল দেব, ভেঙ্কটেশ প্রসাদ সহ আরও বেশ কিছু ক্রিকেটার বিরাট কোহলিকে দল থেকে বাদ পক্ষেও সওয়াল করেছেন। যদি খারাপ সময়ে বিরাটের পাশে দাঁড়ানোর লোকের সংখ্যাই বেশি। এক দশকেরও বেশি সময় লাগগাতাপ যেভাবে বিরাট কোহলি দেশের জন্য যা অবদান রেখেছেন তা বিরাট ভক্তরা স্মরণে রাখতে বলেছেন। এবার খারাপ সময় বিরাট কোহলির পক্ষে সমর্থন এল দেশের সীমানার ওপার ভারতের চিরপ্রতীদ্বন্দ্বী পাকিস্তান থেকে। আর কোহলিকে 'বিরাট' সমর্থন দিলেন পাকিস্তানের তথ্য বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম তারকা ব্যাটসম্যান ও পাক অধিনায়ক বাবর আজম।
পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম বিরাট কোহলিকে নিয়ে টুইট করেছেন এবং তাকে শক্তিশালী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। বিরাট কোহলির সঙ্গে বাবার আজমের ব্যাটিংয়ের তুলনা ফ্যানেরা সবসময় করে থাকেন। কিন্তু তাদের মধ্যে মাঠে প্রতিযোগিতা থাকলেও আদতে যে তারা পরস্পরের শুভাকাঙ্খী তা প্রমাণ করলেন বাবর আজম। গত টি২০ বিশ্বকাপের সময় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের সময় খোশ মেজাজে পাওয়া গিয়েছিল দুই তারকাকে। সেই প্রতিযোগিতাতেই কোহলির সঙ্গে তোলা একটি ছবি পোস্ট করে টুইট করেছেন বাবর আজম। তিনি লিখেছেন,'এই সময়টাও এক দিন ঠিক কেটে যাবে। শক্ত থাকো বিরাট কোহলী।'
বাবর আজমের এই ট্যুইটটি নেটিজেনরা খুবই পছন্দ করেছেন। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়েছে। বাবর আজমের টুইটে মন্তব্য করে একজন সাইবারবাসী লিখেছেন, মাঠে এবং মাঠের বাইরে এক রাজা খারাপ সময়ে ক্রিকেটে আরেক রাজার পাশে দাঁড়ানো উচিৎ।এর আগেও বাবর এবং বিরাট কোহলি একে অপরের প্রশংসা করেছেন বহুবার। এতে তাদের দুজনেরই স্পোর্টসম্যান স্পিরিটের প্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়াও বিরাট কোহলির পাশে বাবার আজমের দাঁড়ানোকে সমর্থন জানয়েছেন অসংখ্য ক্রিকেট প্রেমি ও নেটাগরিকরা।
প্রসঙ্গত, ভারত বনাম ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচেও ব্য়াট হাত ব্যর্থ হন বিরাট কোহলি। ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। ব্যাট করতে নেম প্রথম ম্যাচের তুলনায় শুরুটা ভালো করলেও মাঝে দিকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল জস বাটলারের দল। সেখান থেকে মইন আলির ৪৭, ডেভিড উইলির ৪১, লিয়াম লিভিংস্টোনের ৩৩ রানের ইনিংসের সৌজন্যে ২৪৬ রানের লড়াই করার মত স্কোরে পৌছায় ইংল্যান্ড। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন যুজবেন্দ্র চাহল। তবে ভারতীয় দলের ব্যাটসম্যানরা টি২০ সিরিজ ও প্রথম ওডিআইতে যে ফর্মে ছিল তাতে অনেকেই মনে করেছিলেন এই রান সহজেই করে ফেলবে টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু ইনিংসের শুরু থেকেই নিয়মিত ব্যাবধানে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। রোহিত শর্মা ০, শিখর ধওয়ান ৯, বিরাট কোহলি ১৬ , ঋষভ পন্থ ০ রানে আউট হন। এরপর সূর্যকুমার যাদব ২৭, হার্দিক পান্ডিয়া ২৯, রবীন্দ্র জাদেজা ২৯ ও মহম্মদ শামি ২৩ রান করে কিছুটা লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ১৪৬ রানেই শেষ হয়ে যায় ভারতের ইনিংস। ইংল্যান্ডের হয়ে একাই ৬টি উইকেট নেন রিসি টপলে। রবিরা ওল্ড ট্রাফোর্ডে হবে সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচ।